শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

১৯ আগস্ট, ২০২২ ২১:৪৮

শাবিপ্রবির সৈয়দ মুজতবা আলী হলে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সৈয়দ মুজতবা আলী হলে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। পরিবেশবাদী সংগঠন তরুপল্লবের উদ্যোগে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের অর্থায়নে এবং মুজতবা আলী হল প্রশাসনের সহযোগিতায় এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়।

শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকালে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির শেষে সৈয়দ মুজতবা আলী হলের বর্ধিতাংশের কাজ পরিদর্শন করেন তিনি।

এসময় মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু সাঈদ আরেফিন খান বলেন, শিক্ষার্থীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে সৈয়দ মুজতবা আলী হল নির্মাণ করা হয়েছে। আমরা চাই শিক্ষার্থীরা সুন্দর একটি পরিবেশে তাদের পড়াশোনা করুক। হলের বর্ধিতাংশের কাজ সম্পন্ন করতে ও উন্নয়ন কাজকে তরান্বিত করতে সহযোগিতা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। যেকোন প্রয়োজনে উনার কাছে গেলে উনি আমাদের প্রয়োজনের প্রতি আন্তরিক ছিলেন। এজন্য স্যারকে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, হলের সৌন্দর্য বর্ধনে চারপাশে ছয় ঋতুর বিভিন্ন ফুলের গাছ, ঔষধি, ফলজ ও বনজ গাছ লাগানো হয়েছে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক থেকে বৃক্ষরোপণ করতে বিভিন্ন জাতের ৫'শ গাছ দেওয়া হয়েছে। গত বছরও তারা আমাদের হলে গাছ লাগিয়েছিলেন। এজন্য তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

সিলেট স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ম্যানেজার মোহাম্মদ মুজাম্মেল হক বলেন, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক একটি বিদেশি ব্যাংক হলেও এ দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এরই ধারাবাহিকতায় শাবিপ্রবিতে আমরা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছি। আশা করি আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। পরিশেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার আশা ব্যক্তয় করেন চার্টার্ড ব্যাংকের এ কর্মকর্তা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের পরিবেশের জন্য গাছ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। তাই ক্যাম্পাসের পরিবেশকে সতেজ ও সবুজায়ন করতে প্রতি বছর হাজার হাজার গাছ লাগানো হচ্ছে। এতে সিলেট বন বিভাগসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গাছ রোপণ করছে । তবে নিয়মিত পরিচর্যার অভাবে গাছগুলো ভালোভাবে বেড়ে উঠতে পারছে না বা মারা যাচ্ছে৷ তাই চার্টার্ড ব্যাংকের প্রতি আহ্বান ক্যাম্পাসে যে গাছগুলো দিচ্ছেন বা লাগাচ্ছেন সেগুলো ভালো করে পরিচর্যা করা ও পরবর্তীতে খোঁজ নেয়া। আপনাদের এরূপ উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানাই।

উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনে নতুন নতুন হল হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে মুজতবা আলী হলের বর্ধিতাংশের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক মানের সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। বর্তমানে আমাদের অনেক অস্বচ্ছল শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের বাহিরে বাসা ভাড়া করে থাকে, এতে বাসা ভাড়া বেশি হওয়ায় তাদের খরচ বেশি হয়। অন্যদিকে যারা হলে থাকে তাদের খরচ অনেক কম, তাই আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে বৈষম্য করতে পারি না। তাই দ্রুত আরো হল নির্মাণ করা হবে, আশা করছি শীঘ্রই এ সংকট কাটিয়ে উঠতে পারব।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম, শাবি অফিসার্স এসোসিয়েশন সভাপতি মো. ইউনুস আলী, সহকারী প্রভোস্ট এ এস এম সাইদুল রহমান, ওয়াশেক মিয়া, মো. হযরত আলী, আসিফ মাহমুদ, আবু বকর সিদ্দিক, অভিজিৎ মজুমদার, মাহাবুব আলম। অন্যদিকে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক সিলেট ব্রাঞ্চের ম্যানেজার মো. মোজাম্মেল হক, রিলেশনশিপ ম্যানেজার প্রতিমা বৈরাগী, ইউনিভার্সাল ব্যাংকার সাঈদ আহমদ খান, সৈয়দ মুশফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত