শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

১৭ অক্টোবর, ২০২২ ১২:০৬

ফের সংঘর্ষে জড়ালো শাবিপ্রবি ছাত্রলীগ

আবাসিক হলের এক ভর্তিকৃত বৈধ শিক্ষার্থীকে রুম থেকে বের করে দিয়ে সীট দখল করতে মধ্যরাতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ছাত্রলীগ। রোববার (১৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে শাহপরান হলের  ডি ব্লকে ৩৩৯ রুমে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, শাহপরান হলের ডি ব্লকের ৩৩৯ নং রুমে থাকতেন পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী শামশেদ সিদ্দিকী সুমন। তিনি আগে শাবি ছাত্রলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) রুহুল আমিনের গ্রুপে সক্রিয় ছিলেন। রুহুল ক্যাম্পাস ছাড়ার পর তার অনুসারীরা ২ গ্রুপে বিভক্ত হয়। কিন্তু শামশেদ সিদ্দিকী সুমন দুই গ্রুপের কোন গ্রুপেই সক্রিয় ছিলেন না। তবে তিনি রুহুলের গ্রুপের আগের রুমেই থাকতেন বলে তাকে হল থেকে বের করে দিয়ে সীট দখলের চেষ্টা করে ছাত্রলীগ নেতা সুমন সরকার-তারেক হসলিমীর অনুসারীরা।

পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. খলিলুর রহমানের গ্রুপ ও সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমানের অনুসারীদের সাথে সুমন সরকার-তারেক হালিমীর অনুসারীদের মধ্যে হাতাহাতি ও বাকবিতণ্ডা হয়। পরে গ্রুপগুলোর কর্মীদের হাতে লাঠিসোটা, জিআই পাইপ ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অবস্থান করতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে সুমন সরকার বলেন, শামশেদ সিদ্দিকী সুমন আমোদের গ্রুপের কেউ না, তবে সে আমাদের গ্রুপের রুমে থাকে। সে আমাদের গ্রুপের ভিতরে বিদ্রোহী কর্মী বানাতে ছেয়েছিল এবং গ্রুপের অনেক ক্ষতিও করেছে। সে আগে রুহুল আমিনের গ্রুপ করত। তাই তাকে হল থেকে বের করে দিতে ছেয়েছি। এ সময় সীট নিয়ে সিনিয়র-জুনিয়রদের সাথে একটু ঝামেলা হয়েছে। আমরা তাদেরকে মিলিয়ে দিয়ে সমস্যাটি মীমাংসা করে দিয়েছি।

ঘটনার বিষয়ে সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান বলেন, হলে সীট নিয়ে অন্য গ্রুপের মধ্যে ঝামেলা হইছে। জুনিয়র সিনিয়রের সাথে বেয়াদবি করেছে। আমরা সমস্যাটির সমাধান করে দিয়েছি, তবে ঘটনা শুরু হওয়ার পর থেকে শেষ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বড়ির কোন সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।

এর একদিন আগে শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সৈয়দ মুজতবা আলী হলে ওয়াশরুম ব্যবহার (গোসল করা) নিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমানের অনুসারী শিমুল মিয়ার সাথে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সহ-সভাপতি মামুন শাহ  গ্রুপের অনুসারী মুসলিম ভূঁইয়ার সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে ঘটনাটি সজিবুর রহমানের গ্রুপ ও মামুন শাহ এর গ্রুপের মধ্যে জানাজানি হলে পরে সন্ধ্যার তাদের মধ্যে মীমাংসা করার জন্য ৪০৯ নং রুমে বসা হয়। তখন তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও বাকবিতণ্ডা হয়। এতে ৪০৯ রুমের তালা, টেবিল ফ্যান অন্যান্য জিনিসপত্র ভাংচুর করে সজিবুর রহমানের অনুসারীরা। পরে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রুপের কর্মীরা লাঠিসোটা, জিআই পাইপ ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, নিয়ে মহড়া দেয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত