তাহিরপুর প্রতিনিধি

২৮ নভেম্বর, ২০২২ ২১:২৬

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ 

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ডিলারের বিরুদ্ধে। ডিলাররা জন প্রতি দেড় থেকে দু কেজি করে কম দিয়েছেন। এনিয়ে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা ঝড় উঠেছে। বিষয়টি ভোক্তভোগীরা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানিয়েছেন।

এমনি অভিযোগ মিলেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে প্রতি মাসে ৮০০জন হতদরিদ্র পুরুষ ও মহিলা প্রতিমাসে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল পেতেন। চলতি মাসে ৩০ কেজি চালের বদলে অনেক উপকারভোগী দেড় থেকে দুই কেজি করে চাল কম পাওয়ায় ভোক্তভোগিরা বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান নিজাম উদ্দিন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমাকেও অবগত করেছেন।

বাদাঘাট ইউনিয়নের টেন্ডেলপাড়া গ্রামের মাস্টার মিয়া জানান,আমি নিজে না গিয়ে আমার ছেলেকে পাঠিয়েছিলাম চাল আনতে। চাল আনার পর চালের বস্তা দেখে সন্দেহ হলে চালের পরিমান সঠিক আছে কি না তা যাচাই করার জন্য মেপে দেখি প্রায় দুই কেজি চাল কম আছে।

বাদাঘাট গ্রামের বকুল মিয়া বলেন, আমার সামনে থেকে নেয়া হুমায়ূনের চাল কম দেখে আমি ও আমার সাথে থাকা আব্দুল হেলিম চাল পরিমাপ করে দেখি দেড় থেকে দুই কেজি করে ওজনে চাল কম রয়েছে। পরে আমরা ডিলারের কাছে গিয়ে চাল কম দেয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তারা জানান,চাল অন্য জায়গায় নিয়ে ওজন করলেন কেনো। ঠিক আছে এখন চলে যান পরে চাল পাঠিয়ে দিব।

বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান নিজাম উদ্দিন বলেন,আমার ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ ডিলারদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন উপকারভোগী চাল কম পাওয়ার বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে ডিলার জয়নাল আবেদিন বলেন, কয়েকজনের চাল আমরা পূরণ করে দিয়েছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই ডিলারদের ডেকে বিষয়টি সমাধান করে দিয়ে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত