শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

০৬ ফেব্রুয়ারি , ২০২৩ ১৯:২৫

শাবিতে হলের মধ্যে মারধরের শিকার ছাত্রলীগ নেতা

গ্রুপের অন্তর্কোন্দলের জেরে গভীর রাতে হলে এসে  মারধরের শিকার হয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক বিভাগ ছাত্রলীগ নেতা। সানজিদ চৌধুরী তন্ময় (রিশান তন্ময়) নামে এ নেতা সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগ ছাত্রলীগের সভাপতি।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হলে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রোববার (৫ ফেব্রুয়ারী) গভীর রাতে শাহপরাণ হলের ৪২৫ নম্বর রুমে আসে সানজিদ চৌধুরী তন্ময়। পরে তার সঙ্গে অন্য ছাত্রলীগ নেতার আঁতাতের অভিযোগে এনে তাকে রুম থেকে বের দিতে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক সজিবুর রহমানের অনুসারীরা। সে বের হতে না চাইলে তাকে মারধর করে টেনেহিঁচড়ে রুম থেকে বের করে দিয়ে হলের গেস্ট রুমে বেঁধে রাখা হয়। এরআগে গ্রুপের মধ্যে অন্তর্কোন্দলের জেরে রিশান তন্ময়কে হল থেকে বের করে দেয় সজিবুর রহমানের নেতাকর্মীরা। পরে হলে ভর্তি হয়ে রোববার রাতে তার সীটে থাকতে আসলে তাকে মারধরের শিকার হতে হয়।

ঘটনার বিষয়ে রিশান তন্ময় বলেন, গতরাতে আমি শাহপরাণ হলের ৪২৫ নম্বর কক্ষে গিয়েছিলাম, সে কক্ষে আমি ভর্তি হয়েছি। পরে সজিবুর রহমানের নির্দেশে তার গ্রুপের কর্মী ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন এসে আমাকে নানা ধরনের প্রশ্ন করতে থাকে। সে আমাকে বলে, আমি নাকি ছাত্রলীগ নেতা আসাদের রাজনীতি করি। তাই আমাকে রুম থেকে বের হয়ে যেতে বলে, তাতে আমি অস্বীকৃতি জানাই। তখন সাজ্জাদের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন এসে আমাকে মারধর করে টেনেহিঁচড়ে মারতে মারতে হলের গেস্ট রুমে এনে বেঁধে রাখে।

অভিযোগের বিষয়ে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ছোটখাটো কিছু বিষয়ে তার সাথে আমাদের ভুল বুঝাবুঝি হইছে। আমরা তাকে মারধর করিনি বা মারতে যায়নি । বরং সে যে ঘটনা ঘটাতে চেয়েছে, তা ঘটতে দেইনি। সে আমাদের কাছের ছোট ভাই, আমরা চাই সে ভুল থেকে বেরিয়ে এসে পড়াশোনা করুক, হলে লিগ্যাল প্রসেডিওর মেনে ভর্তি হোক, যার রাজনীতি করার করুক, আমাদের কোন সমস্যা নেই।

ছাত্রলীগ নেতা সজিবুর রহমান বলেন, সে কারো জন্য সেইফ না, তাকে হলে রাখা রিস্ক। সে মানসিকভাবে সুস্থ না, নাকি সে ইচ্ছে করে এসব করছে তাও জানি না। সে গতকাল ঘটনা করতে হলে আসে, আমরা তা জানতে পেরে তাকে আটকে রাখি। পরে তাকে মেসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

শাহপরাণ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান খান বলেন, হলের ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে আমরা তাৎক্ষণিক হলে আসি। পরে ঘটনাটি আমরা সমাধান করে ঔই ছেলেকে মেসে পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে ছেলেটি হলে ভর্তি হয়নি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত