শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

১০ জুলাই, ২০২৩ ১৭:২৯

'নির্বাচনের আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে'

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. কবীর হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ভবনের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এমনটি দাবি করেন শিক্ষক সমিতির এ নেতা।

এদিন ইউজিসি কর্তৃক প্রণীত “অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা ও হিসাব ম্যানুয়াল” প্রতিপালনের নির্দেশ প্রত্যাখ্যান ও এর প্রতিবাদে মানববন্ধন করে শাবি শিক্ষক সমিতি।

মানববন্ধনে শাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মাহবুবুল হাকিমে সঞ্চালনায় অধ্যাপক ড. তুলসী কুমার দাস বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিকাশের বিরুদ্ধে একের পর এক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হচ্ছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতায় যদি মেধাবী নিতে না পারি, তারা আসতে না পারে কিংবা মেধাবী শিক্ষার্থীরা যদি মনে করে এখানে ক্ষমতা নেই, ঐক্য নেই, জীবনের কোন জৌলুশ নেই তখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো মুখ তুবড়ে পড়বে, শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হবে। তাই এখনই সময় দেশের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা রক্ষা করা, অন্যথায় দেশ একটি হুমকির মধ্যে পতিত হবে।

অধ্যাপক কবীর হোসেন বলেন, ইউজিসি কর্তৃক প্রণীত “অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা ও হিসাব ম্যানুয়াল” শিক্ষকদের উপর চাপিয়ে দেওয়ায় শিক্ষকরা ঐক্যবদ্ধভাবে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এটা শিক্ষক উপর জুলুম ও অন্যায় করা হচ্ছে। আমরা অবিলম্বে এ নীতি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি, অন্যথায় শিক্ষকরা মাঠে নামলে কেউ থামাতে পারবে না।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এখন আমলাতান্ত্রিক রূপ দেওয়ার পায়তারা করা হচ্ছে। আমলারা এখন শিক্ষকদের শাসন করতে চায়। এ বছর জাতীয় নির্বাচন, তবে একটা মহল নির্বাচনের পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অস্থিতিশীল করতে চাচ্ছে। তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হোক।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম বলেন, ইউজিসি বারবার শিক্ষকদের উপর অন্যায়ভাবে যেকোন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে। সম্প্রীতি অভিন্ন আর্থিক নীতিমালার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছ তা সারা বাংলাদেশের শিক্ষকরা প্রত্যাখান করেছে।

যারা শিক্ষকদের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে তাদেরকে হুশিয়ারি করে তিনি বলেন, শিক্ষকরা তাদের অধিকার নিয়ে কেন রাস্তায় আসতে হবে? কারা এ সমস্যাগুলো তৈরি করছে? আমরা বলে দিতে চাই যারা এমন কাজ করছে তাদেরকে তাদের পদে থাকতে দেওয়া হবে না। শিক্ষকদের দাবি মেনে না নিলে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য থাকবে শিক্ষকরা।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান এবং সর্বস্তরের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। এতে দুই শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত