সিলেটটুডে ডেস্ক

১৪ জানুয়ারি, ২০১৬ ১৩:৩০

একেকজন একেকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে বোঝাচ্ছে : শিক্ষক সমিতি

একেক জন একেকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে বোঝান বলে দাবিগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। তবে তিনি আশাবাদী হয়েছে বলেছেন, শিগগিরই আমরা শান্তিপূর্ণ, মর্যাদাপূর্ণ এবং সম্মানজনক সমাধান চাই।

তিনি বলেন, আমরা শিগগিরই সমাধান চাই। সমাধান না হলে আন্দোলন চলতে থাকবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কলা ভবন সংলগ্ন বটতলায় উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের এ অধ্যাপক বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে আমরা সমাধানে যেতে পারব বলে আশাবাদী। সরকারের বিভিন্ন মহল থেকে আমাদের সাথে আলোচনা করার চেষ্টা চলছে। বেশি দিন ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হোক বা আমারা ক্লাসরুমের বাইরে থাকি সেটা আমরা চাই না।

তিনি বলেন, সরকারের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের লোকজন থাকেন। একেকজন একেকভাবে প্রধানমন্ত্রীকে বোঝান। এই জন্য আমাদের দাবিগুলো এখনও যথাযথভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে নাই।

এসময় তার সঙ্গে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভূঁইয়া। উল্লেখ্য, ঢাবিতে শিক্ষকদের কর্মবিরতি সত্ত্বেও কিছু কিছু বিভাগে চূড়ান্ত পরীক্ষা ও দাপ্তরিক কার্যক্রম চলছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম।

উল্লেখ্য, বেতন বৈষম্য নিরসনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দাবি পূরণ না হওয়ায় গত সোমবার (১১ জানুয়ারি) থেকে দেশের মোট ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫ হাজার শিক্ষকরা লাগাতার কর্মবিরতি পালন শুরু করেছেন।

অষ্টম বেতন কাঠামো ঘোষণার পর থেকেই গ্রেডে মর্যাদার অবনমন এবং টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বাতিলের প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষকরা। এরপর সরকার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের এই দাবি পর্যালোচনায় কমিটি করে। কমিটির সভাপতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শিক্ষকদের নিয়ে বৈঠকও করেন।

গত ৬ ডিসেম্বর বৈঠকে অর্থমন্ত্রী শিক্ষকদের তিনটি দাবি মেনে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও ১০ দিন পর বেতন কাঠামোর গেজেটে প্রথম দুটি দাবির প্রতিফলন ঘটেনি বলে শিক্ষকদের অভিযোগ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত