শেখ হাসিনা শুধু আওয়ামীলীগের নন, তিনি ১৭ কোটি মানুষের অভিভাবক। যিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সত্ত্বেও এখনো ছাত্রলীগের একজন কর্মী হয়েই কাজ করে যাচ্ছেন। যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আগামীতে মালেয়শিয়া, সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে যাবে। যিনি ছোটো বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ সবার খোঁজ রাখেন। সেই নেত্রীকে হত্যা করার লক্ষ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ ২২ বার হামলা চালানো হয়েছে। আমরা সেই হামলাকারীদের বাংলার মাটিতে ঠাঁই দিবো না।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র ৭০ তম জন্ম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা নেতাকর্মীদের আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে ছাত্রলীগের দলীয় ট্রেন্ট থেকে একটি আনন্দ মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ট্রেন্টে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা এমন একজন মানুষের সন্তান যিনি গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেও সারা বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যিনি ২৩ বছর দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম করে তার রাজনৈতিক জীবনে ২৪ টি মামলার শিকার হন। যিনি অসংখ্যবার জেলে গিয়েছেন তবুও বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিতে পিছপা হননি। তিনি বাঙ্গালী জাতির জনক, স্বাধীনতার ঘোষক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যার হাত ধরে আমরা আজ স্বাধীন জাতি হিসাবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারছি। বাবা উপহার দিয়েছেন স্বাধীনতা, রক্ষা করছেন তারই কন্যা শেখ হাসিনা।

এ সময় রাবি ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাঞ্জু বলেন, আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনা হাতকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করছি করে যাবো। তিনি আমাদের ছাত্রলীগসহ বাংলাদেশের গর্ব। আমরা তার হত্যা চেষ্টাকারী সেই কুখ্যাত জামায়াত ইসলামী ক্যাডারদের কখনো ছাড় দিবো না। আমরা তারই লক্ষ্যে আবাসিক হলগুলোতে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। এছাড়া ক্যাম্পাস ছাত্রলীগে মুখরিত রাখতে, ছাত্রলীগকে আরো সক্রিয় করতে প্রতি শনি ও বুধবার মিছিল চালিয়ে যাবে নেতাকর্মীরা।

সমাবেশে রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক খালিদ হাসান বিপ্লব, মহানগর ছাত্রলীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক সিদ্ধার্থসহ শতাধিক ছাত্রলীগ কর্মী উপস্থিত ছিলেন। পরে নেতাকর্মীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।