রাবি প্রতিনিধি

১৮ নভেম্বর, ২০১৬ ২০:৪২

আমি সেই জাতীয় চার নেতার পরিবারের সন্তান : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

রাবিতে জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভায়

এখন রাজনীতিতে অবক্ষয়ের সময় চলছে। রাজনীতিতে আর জাতীয় চার নেতার মতো বঙ্গবন্ধু ও দেশকে ভালবাসতে পারে এমন ত্যাগী নেতা পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। চার নেতা দেশকে ভালবাসতেন, নেতাকে ভালবাসতেন, তা জীবন দিয়ে তারা প্রমাণ করেছেন তারা বেঈমান নয়। আমি সেই জাতীয় চার নেতার পরিবারের সন্তান। এ জন্যই আমি গর্ববোধ করি। শুক্রবার বিকেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে শিক্ষক সমিতির আয়োজিত জেলহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, জাতীয় চার নেতা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে এক করেছিলেন। কোটি কোটি উদ্বাস্তু মানুষকে স্বাধীনতা লড়াইয়ের জন্য একসঙ্গে করেছিলেন। দেশের স্বাধীনতা লড়াইয়ের জন্য বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে চার নেতা মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। চার নেতা ও বঙ্গবন্ধুর মধ্যে আন্তরিকতা ছিলো পরিবারের সদস্যদের মতো। তাদের মধ্যে ছিলো সমন্বয়, আর এ সমন্বয়ের কারণেই মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জাতি স্বাধীনতা লাভ করেছিলো।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ্ আজম শান্তনু বলেন, আমরা জাতীয় চার নেতার অবদান ভুলতে পারবো না। কিন্তু প্রথম শহীদ বুদ্ধিজীবী জোহার আত্মত্যাগের কথা কোনোভাবেই ভুলা যাবে না। তাই তাঁর সম্মানে ১৮ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় শিক্ষক দিবস করা হোক। এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মন্ত্রী আশ্বাস দিয়ে বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী শামসুজ্জোহার মৃত্যু দিবস যাতে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি পায় আমি মন্ত্রীসভায় কথা বলবো। আর শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবো জোহার মৃত্যু দিবসটিকে জাতীয় শিক্ষক দিবস হিসেবে গৃহীত করার জন্য। আশা করি তিনি আমাকে সমর্থন করবেন।

সভার বিশেষ অতিথি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জমান বলেন, পাকিস্তানী শাসকরা দীর্ঘদিন শাসন করেছে, আবার মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত হয়ে ৯৬ হাজার সৈন্যরা তাদের অস্ত্র সমর্পণ করে দস্তখত করেছে। তারা এ পরাজয়কে মেনে নিতে পারেনি। এ কারণেই পাকিস্তানী ও এদেশের দোসর-দালালরা বারবার বাংলাদেশের উপর আক্রমণ করেছে। বঙ্গবন্ধুসহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে এ দেশীয় দোসররা। তাই হাইব্রিড নেতা থেকে মুক্ত হয়ে জাতীয় চার নেতার আদর্শে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

সভায় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. শহীদুল্লাহ্। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও রাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল ইসলাম ঠান্ডু।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত