নিউজ ডেস্ক

০৮ জানুয়ারি, ২০১৫ ১৮:২৫

মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থার কর্মশালা

তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী শতাধিক তারুণ্যের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি বিষয়ক সংস্থা প্রথম ভেঞ্চারের কর্মশালা।

তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী শতাধিক তারুণ্যের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হল যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি বিষয়ক সংস্থা প্রথম ভেঞ্চারের কর্মশালা। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা জানালেন, এই কর্মশালা উদ্যোক্তা ও সফটওয়্যার নির্মাতা হওয়া পথে ভূমিকা রাখবে।

গতকাল সকাল ১১টায় সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির হাবিবুর রহমান হলরুমে কর্মশালার কার্যক্রম শুরু হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভাগীয় প্রধান চৌধুরী মোকাম্মেল ওয়াহিদ, বারাকাত উল্লাহ ইলেক্ট্রো ডায়নামিসক লি. এর প্রকল্প পরিচালক ফাহিম আহমেদ চৌধুরী, সিলেট গ্রামার স্কুলের অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম, প্রথম ভেঞ্চারের স্থানীয় অংশীদার এ.এইচ.এম. মোস্তাকীম চৌধুরী।

কর্মশালায় সিলেটের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাও অংশ নেন। অংশগ্রহণকারীরা অ্যাপস, সফটওয়্যারসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের নতুন নতুন পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। অনেকে তাদের অ্যাপ্লিকেশন তৈরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার বিষয় তুলে ধরে সমাধানে সহযোগিতা চান।


প্রথম ভেঞ্চারের কর্মশালা

কর্মশালায় অংশ নেওয়া মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসসি দ্বিতীয়বর্ষ তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী তন্ময় দেব চৌধুরী বলেন, বিপণনসহ বিভিন্ন বিষয়ে এখানে এসে অনেক ধারণা পেলাম। এগুলো আইটি ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়তে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন যুক্তরাষ্ট্রের এস জে ইনোভেশনের প্রধান নির্বাহি ও প্রথম ভেঞ্চারের অন্যতম উদ্যোক্তা শাহেদ ইসলাম। আয়োজক প্রথম ভেঞ্চারের অন্যতম উদ্যোক্তা শাহেদ ইসলাম বলেন, কর্মশালায় অনেকেই দারুণ সব আইডিয়ার কথা বলেছে। আমরা আসলে এইসব আইডিয়াক পৃষ্টপোষকতা করতে চাচ্ছি। আমি তরুণদের বলেছি প্রজেক্ট পুরোপুরি গুছিয়ে যোগাযোগ করতে হবে এমন নয়, যদি কোথাও সমস্যা দেখা দেয় আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা সে বিষয়ে সহযোগিতার চেষ্টা করবো।

শাহেদ বলেন, ‘এদেশে অনেক সৃষ্টিশীল তরুণ আছেন। তারা হয়তো ভালো কাজ জানেন। কিন্তু কিভাবে সেগুলোকে বিপণন করতে হবে কিংবা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কিরকম কাজ হচ্ছে এ বিষয়ে অনেকের ধারণা নেই। আমরা তাদের এই জায়গাতে সাহায্য করতে চাই।’

তিনি বলেন, পৃথিবীর অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে বাংলাদেশীরা সাফল্যের সাথে কাজ করছেন। তাদের বললেই তারা এসব ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবেন। কিন্তু আগে প্রমাণ করতে হবে এখানে কাজ হচ্ছে। আমরা এবছরই এসব আইডিয়ার তিন-চারটিকে প্রমোট করার চেষ্টা করবো। তাহলে বাইরে যারা অভিজ্ঞ আছেন তারাও আমার মতো এগিয়ে আসবেন।

প্রথম ভেঞ্চার দেশের তরুণ প্রজন্মের উদ্যোক্তাদের আর্থিক, বুদ্ধিভিত্তিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার মাধ্যমে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করবে বলে তিনি জানান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত