রাবি প্রতিনিধি

০৯ মার্চ, ২০১৭ ১৯:১৪

মানুষের স্মৃতিই হল জীবন্ত ইতিহাস: মেজবাহ কামাল

‘মানুষের স্মৃতিই হলো জীবন্ত ইতিহাস। জীবনের স্মৃতিগুলোকে মানুষ গল্পে রূপান্তর করে। বাচনিক ইতিহাস এই গল্পগুলোকে প্রত্যবেক্ষণ করে এবং যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে তার মধ্য থেকে ইতিহাসের উপাত্ত খুঁজে নেয়। বাচনিক ইতিহাস হলো বেঁচে থাকা মানুষের নিজস্ব অভিজ্ঞতার সাক্ষ্যসমূহের একটি সুসংবদ্ধ সংগ্রহ।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ (আইবিএস) আয়োজিত ‘ইতিহাস চর্চায় বাচনিক উপকরণ’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেজবাহ কামাল এসব কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএস কনফারেন্স হলে ‘বাচনিক ইতিহাস : প্রাথমিক ধারণাপত্র’ নামে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন তিনি।

মূল প্রবন্ধে তিনি আরো বলেন, ‘বাচনিক ইতিহাস মূলত স্মৃতির উপর নির্ভর করে রচিত ইতিহাস। ইতিহাস চর্চার এই ধারায় প্রাথমিক, দ্বৈতীয়িক ও তৃতীয় মাত্রার নানাবিধ সূত্র নিশ্চয়ই ব্যবহার করা হয়, তবে স্মৃতি থেকে আহরিত উপাদান ইতিহাস পুনর্গঠনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে কাজ করে। মুখনিঃসৃত স্মৃতিকথার উপর প্রধানত নির্ভরশীল বলে এই ধারার ইতিহাস চর্চার নাম বাচনিক ইতিহাস।

আইবিএসর পরিচালক অধ্যাপক স্বরোচিষ সরকারের সভাপতিত্বে দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মুহম্মদ মিজানউদ্দিন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান। আইবিএস’র এমফিল ফেলো সুমাইয়া চৌধুরী সুমীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সম্মেলন কমিটির আহ্বায়ক ড. মো. নাজিমুল হক।

সম্মেলনের পাঁচটি অধিবেশনে ৩৯টি প্রবন্ধ উপস্থাপিত হবে বলে কর্মসূচিতে নির্ধারিত আছে। এই সম্মেলনে দেশ-বিদেশ থেকে শতাধিক ইতিহাসবিদ, শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত