সিকৃবি প্রতিনিধি

১২ এপ্রিল, ২০১৭ ০০:০২

সিকৃবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আংশিক দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি আংশিক মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। মঙ্গলবার বিকেলে আন্দোলরত শিক্ষার্থীদের সাথে বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ আশ্বাস দেয়।

সিকৃবির কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদের শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবি নিয়ে গত সোমবার থেকে আন্দোলন করে আসছে। আন্দোলনের ২য় দিন মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা, কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদের শিক্ষকবৃন্দ , ছাত্রলীগ সভাপতি , সাধারন সম্পাদক সহ কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে আলোচনায় বসেন। দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টাব্যাপী আলোচনায় প্রত্যেকে প্রত্যেকের নিজ নিজ অবস্থান থেকে বক্তব্য তুলে ধরেন।

আলোচনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ডীন অফিস খুলে দেয়ার আহবান জানান এবং শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেন।

তারা বলেন ডীনকে নিয়ে তাদের যে অভিযোগ তা প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীরা যেন পূর্বের মত শ্রেনীকার্যে যোগদান করে । ডীন প্রফেসর ডঃ পীযুষ কান্তি সরকার তার বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে বলেন, উপরমহলের কর্তৃপক্ষের অসহযোগিতার কাছে তিনি জিম্মি ছিলেন। তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিলো, ডীনের প্রশাসনিক এবং সাংগঠনিক দুর্বলতার জন্যই অনুষদের অনেক উন্নয়ন ব্যাহত হয়ে আসছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই তারা ডীনের অপসারণসহ অন্যান্য দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দেন, ফাইনাল ইয়ারে কোন বিষয়ে খারাপ করলে এ জন্য পূর্বের ন্যায় এক বছর বসে থাকতে হবে না। ফাইনাল পরীক্ষা দেয়ার চল্লিশ দিনের মাথায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীকে সেই বিষয়ে পুনরায় পরীক্ষা নেয়ার ব্যাবস্থা করা হবে। এছাড়া অন্যান্য দাবি দাওয়াগুলোর মধ্যে মাস্টার্সে শিক্ষার্থী ভর্তি, অনুষদে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ, কর্মচারী নিয়োগসহ অনুষদের আওতায় বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট চালুর বিষয়েও আশ্বস্ত করা হয়।

শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ডঃ মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, আগামী পনের দিনের মধ্যেই শিক্ষক নিয়োগ এর ব্যাপারটা চূড়ান্ত হবে ।

প্রশাসনের সাথৈ বৈঠক শেষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, নিজেদের মধ্যে  আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানাবেন তারা ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত