রাবি প্রতিনিধি

৩০ মে, ২০১৭ ০০:১৫

বন্ধ ডাইনিং ও ক্যান্টিন, খাবার সঙ্কটে রাবি শিক্ষার্থীরা

রমজান, ঈদ-উল-ফিতর ও গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে আবাসিক হল খোলা থাকলেও হলের ডাইনিং বন্ধ থাকায় রমজানে খাবার নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক শিক্ষার্থীরা। হলের দুয়েকটি ক্যান্টিন খোলা থাকলেও বন্ধ রয়েছে অধিকাংশই। রাত কিংবা ভোর রাতের সেহরীর জন্য শিক্ষার্থীদের যেতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকা বিনোদপুর, স্টেশনবাজার, তালাইমারির হোটেলগুলোতে। ওই সমস্ত খাবারের হোটেলগুলো শিক্ষার্থীদের কাছে নিম্নমানের খাবার বিক্রি করে বেশি টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের মধ্যেও কয়েকটি বিভাগের পরীক্ষা চলছে। মার্কেটিং বিভাগের পরীক্ষা শেষ হবে ১৮ জুন। ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং এর তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষাও চলছে। সমাজকর্ম বিভাগের পরীক্ষা তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা গত রোববার থেকে শুরু হয়েছে। এতে করে আবাসিক শিক্ষার্থীদের খাবার নিয়ে দুর্ভোগ বেড়েছে।

খাবার নিয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ছাত্রীদের। কয়েকটি ছাত্রী হলের ডাইনিং বন্ধ হয়ে গেছে। বাকিগুলোও শীঘ্রই বন্ধ হবে বলে জানা গেছে। এদিকে, সন্ধ্যা সাতটার পর ছাত্রীদের হলের বাইরে অবস্থানে নিষেধাজ্ঞা থাকায় রাতের ও সেহরীর খাবার নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিপাকে আছেন তারা।

মন্নুজান হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, হলের ডাইনিং বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আবার সন্ধ্যে সাতটার মধ্যেই হলে ফিরতে হয়। তাই খাবার নিয়ে সমস্যায় ভুগছি।

গত শনিবার (২৭ মে) থেকে রাবিতে ৩৪ দিনের ছুটি শুরু হয়েছে। তবে এবার ছুটির মধ্যেও ১৭টি আবাসিক হল খোলা রাখা হয়েছে। কিন্তু ছুটি শুরুর দিন থেকেই আবাসিক শিক্ষার্থীদের খাবারের জন্য নির্ধারিত হলের ডাইনিং বন্ধ রাখা হয়েছে। খোলা থাকা অল্প কয়টি হল ক্যান্টিনেও চাপ বেড়েছে। সুযোগ বুঝে খাবারের দাম কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন ক্যান্টিন মালিকরা। তবুও মিলছে না মানসম্পন্ন খাবার। আর অল্প সময়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে খাবার। বাধ্য হয়ে সেহরী সারতে শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর ও স্টেশন বাজারে যেতে হচ্ছে।

ছাত্রী হলগুলোর কয়েকটি ডাইনিং খোলা থাকলেও দুই-তিন দিনের মধ্যে তা বন্ধ করা হবে বলে ইতিমধ্যে নোটিশ দেয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ক্লাস বন্ধ হলেও পরীক্ষা চলছে। রমজান মাসে সন্ধ্যা রাত এবং সেহরির সময় খাবার রান্না করবেন নাকি পড়াশোনা করবেন, তা নিয়ে ক্ষোভ শিক্ষার্থীদের। তারা ডাইনিং-ক্যান্টিন বন্ধের সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক বলে উল্লেখ করে তা খোলা রাখার দাবি করেছেন।

প্রাধ্যক্ষ পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আনিসুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে এ বিষয়টি আমারও অবগত। কিন্তু হলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে। অল্প কয়েকজনের জন্য নিয়মিত ডাইনিং চালানো সম্ভব নয় জানিয়ে ডাইনিং সংশ্লিষ্ট কর্মচারীরা আমাদেরকে তা বন্ধ রাখার অনুমতি চেয়ে আবেদন করে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে ডাইনিং বন্ধ রাখার হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত