রাবি প্রতিনিধি

২১ আগস্ট, ২০১৭ ১১:২৩

ছাত্রলীগকর্মীর ছুরিকাঘাতে রাবিতে দুই শিক্ষার্থী আহত

ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জের ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দুই শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ছাত্রলীগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। এ সময় মারধরের অভিযোগও পাওয়া গেছে ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে।

রোববার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ছুরিকাঘাতে অভিযুক্ত রায়হান উদ্দিন নোমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং মারধরকারী শিক্ষার্থীর নাম রাশেদ খান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।

তবে ছুরিকাঘাত করা শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী নয় বলে জানান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু।

ছুরিকাঘাতে আহত হৃদয় হাসান আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এবং মাহাবুবুর রহমান সুমন একই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী হৃদয় হাসান বলেন, ‘আমার এক বান্ধবীকে নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিলো নোমান। বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য আমি কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে গ্রন্থাগারের সামনে যাই। এসময় প্রথমে আমাকে মারধর করে নোমান আর রাশেদ এবং পরে হঠাৎই আমাকে ছুরিকাঘাত করে নোমান।’

ছুরিকাঘাত করা রায়হান উদ্দিন নোমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

তবে এ বিষয়ে ছাত্রলীগের আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ‘আমার কাল পরীক্ষা। তাই লাইব্রেরীতে পড়াশুনা করছিলাম। পরে নিচে এসে দেখি নোমানের সাথে কথা কাটাকাটি হচ্ছে। সেখানে যেতেই হঠাৎ তারা আক্রমণ করে বসে। আমাকেও মারধর করে। এরই মধ্যে তাকিয়ে দেখি তাদের দুজনকে ছুরি মারা হয়েছে। তাদের কথাকাটাকাটি বা দ্বন্দ্বের বিষয়ে আগে কিছুই জানতাম না।’

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘ঘটনার শোনার পরই আমি ও সভাপতি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। দোষীদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে বলেছি। তবে নোমান ছেলেটি আগে হয়ত ছাত্রলীগ করতে পারে। সম্প্রতি সে ছাত্রলীগের কোন কর্মসূচিতেই থাকে না। বরং ছুরিকাঘাতপ্রাপ্ত সুমন আমাদের ছাত্রলীগ কর্মী।’

তবে রাশেদ খান ছাত্রলীগের নেতা বলে তিনি জানান।

ঘটনাস্থল থেকে হৃদয় ও সুমনকে কয়েকজন শিক্ষার্থী মিলে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখানে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. লুৎফর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি শোনার পরেই আমি সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। এখন পরিস্থিতি ভালো। আর তারাও সুস্থ রয়েছে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত