নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ মে, ২০১৫ ১৩:০৩

শাবি ছাত্রীকে জুতা মারার কথা স্বীকার করলেন রিফাত

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে অশ্লীলভাবে উত্যক্ত করার এক পর্যায়ে জুতা দিয়ে মারধোর করার অভিযোগে অভিযুক্ত  ব্যবসা প্রশাসন বিভাগের ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র রিফাত আদনান পাপন তাঁর ফেসবুকে স্ট্যাটাস পোষ্ট করে ঐ ছাত্রীকে জুতা দিয়ে মারার কথা স্বীকার করেছেন।

রিফাত  লিখেছেন -

 "জানি আমার বিবৃতির কোন দাম থাকবে না,তাই সব ভাই বোন, বন্ধুদের বলে যাচ্ছি -
আমি অপরাধী, কারন তার সাথে আমার ৪ বৎসরের সম্পর্ক ছিল,সবচেয়ে বড় অপরাধ এটা।সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হবার পর গত কাল আমি তার সামনে গেছি কিছু প্রশ্ন করতে।আমি চিনতাম না তার বর্তমান বয়ফ্রেন্ড কে।তাই গিয়ে প্রশ্ন করছি যে ভাই আপনার নাম কি অর্ক?উনি না করার পর বুঝলাম সে আরেক টা নতুন কেউ কারন আমার সাথে সম্পর্ক থাকার সময় সে আরেক ফোন আর ফেসবুক আইডি দিয়ে অর্ক নামের একজনের সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়েছিল।
পরবর্তীতে কাল ভাইয়ার সাথে কথা বলার সময় সে কথা কেড়ে নেয়,আমি তাকে জিজ্ঞাস করি যে কন তুমি এখনো আমাকে ফোনে বা হোয়াটস আপ য়ে গালি গালাজ করে মেসেজ করে?আর যেন এই কাজ না করে সেটা বলি।সে তখন বলছে-তোর মা কে বলিস যেন আমাকে ফোন না দিয়ে চামচামি না করে,আরও অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে।"
মার সন্তান তো....তাই তাকে অসম্মান করাটা মানতে পারিনি,রেগে যাই,তখন নয়ন আর প্রতিক আমাকে সরিয়ে আনে।সহ্য না করতে পেরে জুতা খুলে ঢিল মারি।লাগছে কিনা জানি না।এরপর চলে আসছি।এই হলো ঘটনা,যারা ঐ খানে ছিল তাদের প্রশ্ন করলেও এই উত্তরই দিবে।যদি তাদের বাধ্য করা না হয় তবে।।।:)"

সোমবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই ছাত্রীকে অশ্লিলভাবে  উত্যক্ত করার পর জুতা দিয়ে মারেন রিফাত আদনান পাপন।
অশ্লিলভাবে  উত্যক্ত ও মারধোরের বিষয়টি  ছাত্রী নিজ বিভাগের  প্রধান প্রফেসর হাসানুজ্জামান শ্যামল এবং যৌন হয়রানি ও নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্রের আহবায়ক প্রফেসর ইয়াসমিন হককে মৌখিক ভাবে অবহিত করেন।

এদিকে সোমবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল এই ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্র পাপনকে শোকজ করেছে। তাকে দুই কার্যদিবসের মধ্যে শো'কজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত