রাবি প্রতিনিধি

২৩ অক্টোবর, ২০১৭ ১৩:৫০

রাবি ভর্তি পরীক্ষা: ভবনের নাম নিয়ে বিভ্রান্তিতে ভর্তিচ্ছুরা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা ভর্তিচ্ছুদের মধ্যে ভবনের নাম নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। পরীক্ষার প্রবেশপত্রে নাম ‘রবীন্দ্র কলাভবন’ আর ভবনের গায়ে লিখা ‘রবীন্দ্র ভবন’।

রোববার (২২ অক্টোবর) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে, চলবে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত।

ভর্তিচ্ছুদের অনেকেই জিজ্ঞাসা করছেন, ভাইয়া/আপু রবীন্দ্র কলা ভবন কোথায়? ভবনের আশেপাশের হেল্প ডেস্কের লোকজন বলছেন, ‘এই তো এটাই। এটাই রবীন্দ্র কলাভবন।’

ভর্তিচ্ছুদের অনেকেই বলছেন, ‘দূর থেকে এসেছি। বিভ্রান্তিকর তথ্য দিবেন না। কারণ আমাদের প্রবেশপত্রে লেখা ‘রবীন্দ্র কলাভবন’ আর ভবনের নাম ‘রবীন্দ্র ভবন’।

ভর্তিচ্ছুদের প্রবেশপত্রে দেখা যায়, ভবনের নাম রবীন্দ্র কলাভবন। অথচ ভবনের গেটগুলোতে লিখা আছে রবীন্দ্র ভবন।

সিলেট থেকে আসা অরণ্য রনি নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘হেল্প ডেস্কের নির্দেশনা অনুযায়ী এখানে আসলেও মনে করেছি যে, রবীন্দ্র ভবন ‘রবীন্দ্র কলাভবন’ নয়। রবীন্দ্র ভবন ভিন্ন একটি ভবন হতে পারে। এজন্য রবীন্দ্র ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে রবীন্দ্র কলাভবন কোথায় আছে, সেটা খুঁজছি। আমরা এটা নিয়ে সত্যিই বিব্রত, হয়রানির শিকার হচ্ছি।’

ভর্তিচ্ছু ওয়াহিদা আক্তারের অভিভাবকের অভিযোগ, আমরা এখানে খুব বেশি চিনি না। ভর্তি পরীক্ষার জন্য অনেক দূর থেকে এসেছি। এখানকার ভবনগুলোর অবস্থানের সঙ্গেও পরিচিত নই। ভবনের নামগুলোর সঙ্গে প্রবেশপত্রের নামের মিল থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে ভবনে লেখা রবীন্দ্র ভবন কিন্তু প্রবেশপত্রে আছে ‘রবীন্দ্র কলাভবন’।

হেল্প ডেস্কে বসা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘রবীন্দ্র কলাভবনের সামনে দুদিন ধরে বসে আছি। এই ভবনের সামনে বসেই আমাদেরকে বলতে হচ্ছে, এটা রবীন্দ্র কলাভবন! তবে অনেক ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকই বিশ্বাস করতে চাচ্ছেন না যে, এটা বরীন্দ্র কলাভবন। গত কয়েক বছর ধরেই এ ভবনটির নাম নিয়ে ভর্তিচ্ছুদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান তিনি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘কয়েকজন ভর্তিচ্ছু এমন অভিযোগ করতে পারে। এছাড়া হেল্প ডেস্ক আছে সেখান থেকে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।’

‘ভবনে লেখা নামটিই প্রবেশপত্রে লেখা থাকলে ভর্তিচ্ছুদের জন্য সুবিধা হতো বলে তিনি মনে করেন।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার বলেন, ‘আমাদের অনেক স্বেচ্ছাসেবক আছেন, ওখানে তারা ভর্তিচ্ছুদের সহায়তা করছেন। এ ভবনের নাম খুব শীঘ্রই ঠিক করা হবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত