সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ জানুয়ারি, ২০১৮ ১৭:৫৬

লিডিং ইউনিভার্সিটিতে ক্লাস নিলেন টমি মিয়া

সিলেটের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় লিডিং ইউনিভার্সিটির ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উদ্যোগে লাইভ মাস্টার সেশন ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় দক্ষিণ সুরমার রাগীবনগরস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে এ ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়।

মাস্টার ক্লাসটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশী ব্রিটিশ সেলেব্রিটি শেফ এবং ব্রিটেনে ‘কারী কিং’ হিসেবে স্বীকৃত, পুরস্কার বিজয়ী রাজ রেস্টুরেন্টের স্বত্ত্বাধিকারী এবং ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ান সেফ অব দ্য ইয়ার প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তা মোহাম্মদ আজমান মিয়া (টমি মিয়া), এমবিই (মেম্বার অব ব্রিটিশ এম্পায়ার)।

লিডিং ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লিডিং ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান দানবীর ড. সৈয়দ রাগীব আলী।

এতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান ড. ওয়াহিদুজ্জামান খান। উক্ত বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান এবং রিয়াসাদ আজমি সাদির উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফেজ সাব্বির আহমেদ।

লাইভ মাস্টার সেশন ক্লাসটিতে টমি মিয়া ‘এ্যারোমেটিক চিকেন অব রয়েল ফ্যামিলি’ নামে খ্যাত ডিস রান্না করেন। অনুষ্ঠানে টমি মিয়া ইনস্টিটিউটের সাথে লিডিং ইউনিভার্সিটির একটি চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।

টমি মিয়াকে লিডিং ইউনিভার্সিটিতে স্বাগত জানিয়ে দানবীর ড. রাগীব আলী বলেন, এ চুক্তি সিলেটের ট্যুরিজম সেক্টরকে এগিয়ে নিয়ে যাবে যা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখবে।

উপাচার্য ড. মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশী খাবারের ব্র্যান্ড এম্বাসেডর টমি মিয়ার আজকের এই মাস্টার সেশন ক্লাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের জন্য খুবই চমৎকার এবং গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। লিডিং ইউনিভার্সিটি পরিবারের সাথে সময় দেওয়ার জন্য তিনি টমি মিয়াকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান।

টমি মিয়া তার বক্তব্যে বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে আমার সম্পর্ক বহুদিনের। তিনি রাগীব নগরকে সিলেটের শিক্ষানগরী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, লিডিং ইউনিভার্সিটির গ্রীন ক্যাম্পাস সিলেটসহ দেশের শিক্ষাবিস্তারে এক দৃষ্টান্তমূলক অবদান রাখবে। তিনি লিডিং ইউনিভার্সিটিসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য ড. রাগীব আলীর অবদান বাংলাদেশ কখনো ভুলতে পারবেনা বলে মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে ইইই বিভাগের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. মুমিনুল হক, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সচিব ইঞ্জিনিয়ার মো. লুৎফর রহমান, আইকিউএসি এর পরিচালক মো. রেজাউল করিম, লাইব্রেরিয়ান মোল্লা রফিক আহমেদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা এবং ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আপনার মন্তব্য

আলোচিত