সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ এপ্রিল, ২০১৮ ২১:৫৩

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ঢাবি শিক্ষককে অব্যাহতি

স্বাধীনতা দিবসে ‘জ্যোতির্ময় জিয়া’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে লেখা কলামে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি ও ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষক মোর্শেদ হাসান খানকে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সোমবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি জানান, আগামী সিন্ডিকেট সভায় এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

মোর্শেদ খান ঢাবির মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক এবং সাবেক সিনেট সদস্য।

গত ২৬ মার্চ দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় প্রকাশিত ‘জ্যোতির্ময় জিয়া’ শীর্ষক প্রবন্ধে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবমাননার অভিযোগ এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মোর্শেদ হাসান খানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে পাঠানো এক পত্রে এই তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, এই আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে।

এর আগে গত ২৭ মার্চ দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস অনুষদে এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খানকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে ২৭ মার্চ তিনি একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকায় গত ২৬-০৩-২০১৮ তারিখে ‘জ্যোতির্ময় জিয়া’ নামক আমার একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত প্রবন্ধের কিছু বক্তব্য জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। আমি আন্তরিকভাবে সেজন্য ক্ষমতা প্রার্থনা করছি এবং দুঃখ প্রকাশ করছি। এখানে আমি উল্লেখ করতে চাই যে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল নায়ক ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর অবদান কোনোভাবেই অস্বীকার করার উপায় নেই। উক্ত প্রবন্ধে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে যেসব বাক্য ব্যবহৃত হয়েছে তা আমি প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। কোনোভাবেই বঙ্গবন্ধুর অবদানকে খাটো করার অভিপ্রায় আমার ছিল না। মূলত এই বক্তব্যগুলো দেওয়ার ব্যাপারে আমার আরো সচেতন হওয়া উচিত ছিল। ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে আমি অবশ্যই সতর্ক থাকব। আশা করি আমার অসচেতনাকে সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত