রাবি প্রতিনিধি

১৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ ২০:১৫

রাবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপিত

দিনব্যাপী নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন পেশাজীবী ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে।

দিবসটির শুরুতে সকাল ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্যদ্বয়, কোষাধ্যক্ষ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, ছাত্র-উপদেষ্টা, প্রক্টর, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ রাবি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এময় শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তারা এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

এরপর সকাল সাড়ে ৭টায় উপাচার্য, উপ-উপাচার্যদ্বয়, কোষাধ্যক্ষ ও রেজিস্টারসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্যরা বিশ্ববিদ্যালয় গণকবর স্মৃতিস্তম্ভে (বদ্ধভূমি) পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

অন্যান্য কর্মসূচিগুলোর মধ্যে সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও পুরস্কার প্রদান করেন উপাচার্য আব্দুস সোবহান। সকাল সাড়ে ৯টায় শেখ রাসেল মডেল স্কুল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় আনন্দ মেলা। এই আনন্দ মেলায় ছিল স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, খেলাধুলাসহ নানা আয়োজন। উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা ও অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া এ অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ করেন।

সকাল ১০টায় ‘সাবাস বাংলাদেশ’ চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও রেঞ্জার ইউনিটের কুচকাওয়াজ। এতে প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন উপাচার্য। এরপর সকাল ১১টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবন চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান।

বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে প্রীতি ক্রিকেট, ফুটবল ও হ্যান্ডবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। বাদ জোহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে কোরআনখানি ও বিশেষ মোনাজাত এবং সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্দিরে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়।

দিবসের কর্মসূচিতে বিভিন্ন পেশাজীবী ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে সকাল সাড়ে ৭টায় রাবি শিক্ষক সমিতি, বিভিন্ন হল প্রশাসন, রাবি রিপোর্টস ইউনিটি ও অন্যান্য সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রভাতফেরি শেষে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া চত্বরে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রাবি ইউনিট কমান্ডের ও কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের পশ্চিম চত্বরে রাবি অফিসার সমিতি এবং নিজ নিজ কার্যালয় প্রাঙ্গণে রাবি সহায়ক কর্মচারী সমিতি, পরিবহন কর্মচারী সমিতি ও সাধারণ কর্মচারী ইউনিয়ন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এদিন রাবি শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালা সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ও বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য খোলা ছিল।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত