শাবি প্রতিনিধি

১০ মার্চ, ২০২০ ২০:৩০

আমরণ অনশনে যাচ্ছে শাবির পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা

ক্লাস-পরীক্ষা চালুর দাবি

ক্লাস-পরীক্ষা চালুর দাবিতে আগামীকাল বুধবার থেকে আমরণ অনশনে যাচ্ছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১০ মার্চ) ছয় দিন ধরে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‘একাডেমিক ভবন এ’র সামনে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা।

জানা যায়, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ত্রিশ বছর পূর্তি উৎসবে বহিরাগত শিক্ষক দ্বারা এক শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় বিভাগের কিছু শিক্ষক উপস্থিত থাকলেও এ বিষয়ে কোন বাধা প্রদান না করে উল্টো ওই বহিরাগত শিক্ষককে উৎসাহিত করে। এতে গত ২ মার্চ  শিক্ষার্থীরা বিভাগীয় প্রধানের কাছে পূর্বের ঘটনার জবাবদিহিতা ও বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগসহ চার দফা দাবি পেশ করে।

এদিকে দাবি পেশের পরদিন (৩ মার্চ) বিভাগের কিছু নির্দিষ্ট শিক্ষার্থী ও লাঞ্ছনার শিকার শিক্ষার্থীকে বিভাগীয় প্রধানের রুমে তলব করা হয়। ওই শিক্ষার্থীরা বিভাগীয় প্রধানের রুমে প্রবেশ করলে প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী সেই রুমের সামনে অবস্থান নেয়। এসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কিছু শিক্ষকের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এর জের ধরে গত ৪ মার্চ অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস পরীক্ষা বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেয় বিভাগীয় প্রশাসন।

এরপর থেকেই অবিলম্বে ক্লাস পরীক্ষা চালু করে বিভাগকে সচল করা এবং ৪ দফার ব্যাপারে বিভাগের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট বক্তব্য দাবি করে শিক্ষার্থীরা লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছে। কিন্তু মঙ্গলবার (১০ মার্চ) পর্যন্ত ঘটনার কোনো দৃশ্যমান সুরাহা না হওয়ায় এবং বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো সন্তোষজনক প্রতিক্রিয়া না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা আগামী ১১ মার্চ  সকাল ১১টা থেকে ‘একাডেমিক ভবন এ’র সামনে ৪ দফা দাবি ও অবিলম্বে ক্লাস-পরীক্ষা চালুর দাবিতে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষকরা আমাদের সঙ্গে একাধিকবার বসলেও এ ঘটনার কোন সুরাহা হয়নি। তাই আমরা  ক্লাস-পরীক্ষা চালু ও চার দফা দাবিতে আগামীকাল বুধবার সকাল ১১টা হতে আমরণ অনশনে যাচ্ছি। তবে এ ব্যাপারে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. শামসুন নাহার বেগমের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে ফিজিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাজেদুল করিম বলেন, বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমি আলাদাভাবে বসেছি যেন অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত না হয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত