ফাহিম রিজওয়ান অংকুর

০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:২৫

ঘাতক কাশেম এক সময় নিজেকে মুক্তিযোদ্ধাও পরিচয় দিয়েছিল

“গ্রামে গঞ্জে প্রতিটি এলাকায় খুঁজে খুঁজে পাকিস্তান বিরোধীদের শেষ চিহ্নটি মুছে ফেলতে হবে।”

১৯৭১-এর ২ আগস্ট চট্টগ্রাম মুসলিম ইন্সটিটিউটে আয়োজিত স্বাধীনতা বিরোধী সমাবেশে এমনটাই ভাষণ দেন রাবেতার কান্ট্রি ডিরেক্টর, ইবনে সিনা ট্রাস্টের কর্ণধার, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, কেয়ারি হাউজিং ও ইডেন শিপিং লাইনসের চেয়ারম্যান, একাত্তরে চট্টগ্রাম গণহত্যার নায়ক, রাজাকার মীর কাশেম আলী।

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর থানার চালা গ্রামের পিডাব্লিউডি কর্মচারী তৈয়ব আলীর দ্বিতীয় পুত্র মীর কাশেমের ডাকনাম পিয়ারু। মিন্টু নামে লোকমুখে পরিচিত। একাত্তরে রাজাকার বাহিনী গঠন করা হলে মীর কাশেম আলী এর চট্টগ্রামের প্রধান। বাবার চাকরীর সুবাদে চট্টগ্রাম কলেজে পড়াশোনা করছিল। পড়াশোনা তো আর না, ইসলামী ছাত্রসংঘের সাথে তথাকথিত রাজনীতিতে জড়িয়ে ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাত্রসংঘের যে নতুন প্রাদেশিক পরিষদ গঠিত হয় তার সাধারণ সম্পাদক ছিল মীর কাশেম আলী। সেসময় নভেম্বরে পালিত হয়েছিল আলবদর দিবস। সেসময় বায়তুল মোকাররমে ছাত্র সংঘের সমাবেশে মীর কাশেম আলী বলে, “পাকিস্তানীরা কোনো অবস্থাতেই হিন্দুদের গোলামী করতে পারে না। আমরা শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও পাকিস্তানের ঐক্য ও সংহতি রক্ষা করব।”

২.
চট্টগ্রামে বুদ্ধিজীবী হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিল এই মিন্টু। তার নির্দেশে নির্দেশে চট্টগ্রামের টেলিগ্রাফ অফিসের লাগোয়া ডালিম হোটেলে রাজাকার বাহিনীর বন্দি শিবির খোলা হয়। বহু লোককে ওখানে এনে খুন করা হয়। প্রচণ্ড রকমের অমানুষিক নির্যাতন চালানো হত বন্দিদের প্রতি। খাওয়াদাওয়া তো দূরের কথা, প্রচণ্ড পিপাসায় পানি চাইলে বন্দীদের দেয়া হত “প্রস্রাব”।

হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন, প্রস্রাব!

একাত্তরের ঘাতক ও দালালরা কে কোথায় বইতে ১৯৭২ সালের ৭ জানুয়ারি তৎকালীন ‘দৈনিক পূর্বদেশ’ এ প্রকাশিত ‘হানাদারদের নির্যাতন কক্ষে’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে “এ বন্দি শিবিরে যাদের আটক রাখা হতো তাদের প্রথম ৩ দিন কিছুই খেতে দেওয়া হতো না। এ সময় যারা পানি চাইতো তাদের মুখে প্রস্রাব করে দিতো আর বদররা। অনেক সময় নারকেলের খোলে প্রস্রাব করে করে তা খেতে বাধ্য করা হতো। স্বাধীনতার পর অভিযান চালানো হলে সেখানে প্রায় সাড়ে তিনশ বন্দিকে মৃতপ্রায় অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। শরীরের হাড়ভাঙা, কারো আঙুল কাটা অথবা কারো এক চোখ, এক কান, এক হাত বিনষ্ট বন্দিরা বলেছেন মাঝেমধ্যে হোটেলের ভেতর গুলির শব্দ শোনা যেতো।

পশ্চিম মাদারবাড়ির আবুল কালাম পেশকারের ১৮ বছরের যুবক নজমুল আহসান সিদ্দিকী (বাবুল) তার অভিজ্ঞতার কথা বর্ণনা করতে গিয়ে এ সব কথা বলেছিলেন। তিনি আরো জানিয়েছেন, মুক্ত হওয়ার পর তিনি দেখেছেন হোটেলের একটি রুম খালি ছিল এবং সে রুমের দেয়ালে এবং মেঝেতে বহু রক্তের ছাপ দেখেছেন। সম্ভবত এ রুমে মানুষ এনে গুলি করে হত্যা করে তারপর অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হতো।
 
৩.
স্বাধীনতার পর কাশেম আলী চলে আসে ঢাকায়। নিজেকে পরিচয় দেয় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে। কিন্তু বেশিদিন এই মিথ্যা টিকিয়ে রাখতে পারে নি । পালিয়ে যায় সৌদী আরব। সেখানে সব যুদ্ধাপরাধীদের এক করতে থাকে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশে ফিরে আসে মীর কাশেম। মুশতাক সরকার মুজিবের ঘাতকদের বাচাতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারির পাশাপাশি প্রত্যাহার করে নেয় দালাল আইন। জিয়ার শাসনামলে নতুন করে সংগঠিত হয় ইসলামী ছাত্র সংঘ, নাম বদলে হয় ইসলামী ছাত্র শিবির। ছাত্র শিবিরের প্রথম কেন্দ্রীয় সভাপতি হয় মীর কাশেম আলী। এরপর ডালপালা ছড়াতে থাকে এই জানোয়ার। রোহিঙ্গা পুনর্বাসনের নামে রাবেতা আল ইসলামী আর মধ্যপ্রাচ্যের টাকায় ইসলামী ব্যাংক, ইবনে সিনা ট্রাস্ট ও ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিকালস গড়ে তোলে, যার উপর আজকের জামাত টিকে আছে। রাজাকার মীর কাশেম আলী এখন শত কোটি টাকার মালিক।

৪.
মীর কাশেমের আয় সম্পর্কে একটু বিবরণ দেই। দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠার নামে ১২৫ টি এনজিওর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর থেকে যে টাকা আসে তার মধ্যস্থতাকারী কাশেম আলী দিগন্ত টিভির মিডিয়া কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান। দেশের মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ করতেই টিভি চ্যানেল এবং একটি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ করে। ভবিষ্যতে আরও বেশ কয়েকটি প্রকাশনার জন্যে প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ ছাড়া কাশেম ইসলামী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান ও পরিচালক, বর্তমানে স্থানীয় স্পন্সর, ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, ইবনে সিনা ট্রাস্টের সদস্য (প্রশাসন), ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালসের বোর্ড অব ডিরেক্টরের সদস্য, কেয়ারি হাউজিং ও ইডেন শিপিং লাইন্সের চেয়ারম্যান।

মীর কাশেম রাবেতা আলম আল ইসলামীর এদেশীয় পরিচালক, ফুয়াদ আল খতিব ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রাস্টের (এআইটি) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। এর মধ্যে দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনের রয়েছে টিভি চ্যানেল দিগন্ত টেলিভিশন, দৈনিক পত্রিকা নয়াদিগন্ত। ইবনে সিনা ট্রাস্টের রয়েছে আটটি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক ও ইমেজিং সেন্টার, ১টি মেডিকেল কলেজ, ১ টি নার্সিং কলেজ ও একটি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি। কাশেম ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, ইসলামী ব্যাংক স্কুল ও কলেজ এবং দিগন্ত পেপার মিলের মালিক।

টাকা কি ভাই কম আছে? ''ভি'' কাশেম দেখাবে না তো কে দেখাবে?

৫.
যেসব অভিযোগে মীর কাশেম আলীর গ্রেফতার দেখানো হয়েছে:
অভিযোগ নম্বর-১: মীর কাশেমের নেতৃত্বে আলবদর বাহিনী ১৯৭১ সালের ৮ নভেম্বর ওমরুল ইসলাম চৌধুরীকে অপহরণ করে। পরে কয়েক দফায় চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লার ডালিম হোটেল, পাঁচলাইশ থানার সালমা মঞ্জিল এবং একটি চামড়ার গুদামে নিয়ে নির্যাতন করে।

অভিযোগ নম্বর-২: মীর কাশেমের নেতৃত্বে একাত্তরের ১৯ নভেম্বর চাকতাই থেকে লুৎফর রহমান ফারুককে অপহরণ করে ডালিম হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মীর কাশেমের উপস্থিতিতে তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। এ অভিযোগে মীর কাশেমকে ২০ বছর সাজা দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ নম্বর-৩: একাত্তরের ২২ অথবা ২৩ নভেম্বর সকালে মীর কাশেমের নেতৃত্বে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে তার কদমতলীর ভাড়া বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। মীর কাশেমের উপস্থিতিতে ডালিম হোটেলে তার ওপর অত্যাচার চালানো হয়। ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্ব মুহূর্তে জাহাঙ্গীর আলমের আত্মীয়-স্বজন তাকে ডালিম হোটেল থেকে উদ্ধার করেন। এই অভিযোগে মীর কাশেমের ৭ বছর সাজা হয়।

অভিযোগ নম্বর-৪: একাত্তরের ২৪ নভেম্বর মীর কাশেমের নেতৃত্বে ইসলামী ছাত্রসংঘের নেতাকর্মীরা সালাহ উদ্দিন খানকে ধরে নিয়ে যায়। তাকে ডালিম হোটেলে নির্যাতন করে আলবদর বাহিনী। পরে তাকে জেলে দেওয়া হয়। এই অভিযোগে মীর কাশেমের ৭ বছরের সাজা হয়।

অভিযোগ নম্বর-৫: একাত্তরের ২৫ নভেম্বর মীর কাশেমের নির্দেশে রাজাকার কমান্ডার জালাল চৌধুরী আনোয়ারা থানার আবদুল জব্বারকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। ডালিম হোটেলে মীর কাশেমের সামনে হাজির করা হয়। সেখানে নির্যাতন করা হয় তাকে। ১৩ ডিসেম্বর তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়।

অভিযোগ নম্বর-৬: ১৯৭১ সালের ২৮ নভেম্বর চট্টগ্রামের একটি চায়ের দোকান থেকে হারুনুর রশিদকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেল এবং সালমা মঞ্জিলে নির্যাতন করা হয়। মীর কাশেমের নির্দেশে তাকে অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। তার চোখ তুলে ফেলা হয়। পরে ১৬ ডিসেম্বর সালমা মঞ্জিল থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। এ অভিযোগে মীর কাশেমের ৭ বছরের সাজা হয়।

অভিযোগ নম্বর-৭: একাত্তরের ২৭ নভেম্বর মীর কাশেমের নেতৃত্বে ৭/৮ জন যুবক ডবলমুরিং থানার সানাউল্লাহ চৌধুরী ও হাবিবুর রহমানকে ধরে নিয়ে ডালিম হোটেলে নির্যাতন করে। নির্যাতনের সময় তারা শুনতে পেয়েছেন, হোটেলে আটক অনেক জনকে হত্যা করা হয়েছে। এ অভিযোগে মীর কাশেমকে ৭ বছর সাজা দেন ট্রাইব্যুনাল।

অভিযোগ নম্বর-৯: ১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বর সৈয়দ মো. এমরান, সৈয়দ কামাল, সৈয়দ ওসমানসহ ৬ জনকে অপহরণের পর ডালিম হোটেলে নিয়ে অত্যাচার করা হয়। ১৬ ডিসেম্বর মুক্তি পান তারা। এ অভিযোগেও মীর কাশেমকে ৭ বছরের সাজা দেওয়া হয়।

অভিযোগ নম্বর-১০: একাত্তরের ২৯ নভেম্বর মীর কাশেমের নির্দেশে মো. জাকারিয়া, মো. সালাউদ্দিন ওরফে ছুট্টু মিয়া ও নাজিম উদ্দিনকে এন.এম.সি. হাই স্কুলের সামনে থেকে অপহরণ করে ডালিম হোটেলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। বয়স কম হওয়ায় ৩০ নভেম্বর নাজিম উদ্দিনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ১২ ডিসেম্বর মুক্তি পান ছুট্টু মিয়া ও জাকারিয়া। এ অভিযোগে মীর কাশেমের ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।

অভিযোগ নম্বর-১১: ১৯৭১ সালের ২৮ নভেম্বর ঈদুল ফিতরের পরের দিন মীর কাশেমের নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধা জসিমকে ধরে নিয়ে যায় রাজাকাররা। তাকে চট্টগ্রামের ডালিম হোটেলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। সেখানে জসিমের মৃত্যু হয়। এরপর অন্য ৫টি মরদেহের সঙ্গে তার মরদেহটি কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।

অভিযোগ নম্বর-১২: একাত্তরের নভেম্বরে মীর কাশেমের নির্দেশে আলবদর সদস্যরা চট্টগ্রামের হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা হাজারী গলির বাসা থেকে রঞ্জিত দাস ও টুন্টু সেনকে অপহরণ করে ডালিম হোটেলে নিয়ে অত্যাচার করে। পরে তাদের হত্যা করে লাশ গুম করা হয়। এছাড়া পাকিস্তানি সেনা ও সহযোগী রাজাকার-আলবদররা হাজারী গলির ২৫০ থেকে ৩০০ দোকান লুট ও অগ্নিসংযোগ করে।

অভিযোগ নম্বর-১৩: মীর কাশেমের নির্দেশে নভেম্বরের কোনো একদিন সুনীল কান্তি বর্ধন ওরফে দুলালকে ধরে নিয়ে চাকতাই দোস্ত মোহাম্মদ পাঞ্জাবি বিল্ডিংয়ে নির্যাতন চালানো হয়। এ অভিযোগের পক্ষে কোনো সাক্ষী উপস্থিত করতে পারেনি প্রসিকিউশন।

অভিযোগ নম্বর-১৪: ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসের কোনো একদিন মীর কাশেমের নির্দেশে এ.জে.এম. নাসির উদ্দিন চৌধুরীকে ধরে নিয়ে নির্যাতন চালানো হয়। এই অভিযোগে তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে ১১ ও ১২ নম্বর অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড, ২, ৩, ৪, ৬, ৭, ৮, ৯, ১০, ১৪ নম্বর মোট ৮টি অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এগুলোতে সর্বনিম্ন ৭ বছর থেকে ২০ বছর পর্যন্ত মোট ৭২ বছরের সাজা দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বাকি অভিযোগে খালাস পেয়েছে মীর কাশেম আলী। এরমধ্যে একটি অভিযোগে সাক্ষী উপস্থিত করতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ।

৬.
আমার দেশের স্বাধীনতা রক্ত দিয়ে কেনা। অল্প না, ত্রিশ লাখ মানুষের রক্ত দিয়ে কেনা। যারা এদেশের মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছে, একটুও করুণা করেনি, দেশের মানুষ তাদের সম্মান করবে, এই কথাটা আমি ভাবতেও পারিনা।

বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন , “যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি বাংলার মাটিতেই হবে”। আমরা দ্রুত এই বিচার দেখতে চাই। পরবর্তী প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের কথা যাতে বুক ফুলিয়ে বলতে পারি, যারা এদেশের সূর্যসন্তানদের কেঁড়ে নিয়েছে তাদের আমরা আপ্যায়ন করেছি এই কথা যেন বলতে না হয়।

জয় আমাদের হবেই।
জয় বাংলা!

তথ্যসূত্র :
অমি রহমান পিয়ালের ব্লগ
অর্থসূচক
ট্রাইব্যুনালের রায়

আপনার মন্তব্য

আলোচিত