সিলেটটুডে ডেস্ক:

২০ এপ্রিল, ২০২১ ২১:৩৯

সারেগামাপা বিতর্ক: লাইভে মুখ খুললেন চ্যাম্পিয়ন অর্কদীপ

ভারতীয় বাংলা টেলিভিশন চ্যানেল জি বাংলার সংগীতের রিয়্যালিটি শো ‘সারেগামাপা ২০২০’-এর চূড়ান্ত পর্বে পাঁচ প্রতিযোগীকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন অর্কদীপ মিশ্র। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন নীহারিকা এবং তৃতীয় হয়েছেন বিদীপ্তা।

কিন্তু চ্যাম্পিয়ন হিসাবে অর্কদীপকে পছন্দ করছে না নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। জনতার ভোট নয়, বিচারকের দেওয়া নম্বর অনুসারেই বিজয়ী নির্বাচিত হয়েছেন অর্কদীপ, তাই স্বাভাবিকভাবেই অর্কদীপের পাশাপাশি দর্শকদের নিশানায় বিচারকরাও। এরই মধ্যে কটাক্ষের জবাব দিয়েছেন অর্কদীপ।

রবিবার ধারণকৃত অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হলেও বেশ কিছুদিন আগে একটি মিলনায়তনে সম্পন্ন হয় এ আয়োজন। এতে লোকগানের শিল্পী অর্কদীপকে চ্যাম্পিয়ন করায় দর্শকেরা ক্ষুব্ধ। সাত মাস ধরে যারা এ অনুষ্ঠান দেখেছেন, তাদের মধ্যে একটি পক্ষ মনে করে, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা আনুশকার। আরেকটি পক্ষ মনে করে, চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা নীহারিকার।

কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, ‘টাকা দিয়ে সেরা হয়েছে অর্কদীপ’, ‘বিচারকরা অস্বচ্ছ, অযোগ্য’- এমন মন্তব্যে উত্তাল সামাজিক মাধ্যম। ক্ষুব্ধ জনতা বিচারকদের নামের পাশে ‘বজ্জাত’, ‘চোর’ তকমা দিচ্ছেন অনেকে।

শো’টির বিচারকের আসনে ছিলেন শ্রীকান্ত আচার্য, জয় সরকার, আকৃতি কক্কর, মিকা সিংয়ের মতো স্বনামধন্য সংগীতশিল্পীরা। এছাড়া গ্র্যান্ড ফিনালেতে উপস্থিত ছিলেন মুম্বাইয়ের সংগীত জগতের তিন নক্ষত্র- শংকর মহাদেবন, শান ও কেকে।

অনেকেই ভেবেছিলেন, ‘সারেগামাপা’-এ সেরা হবেন অনুষ্কা। কিন্তু তা না হওয়ায় সামাজিক মাধ্যমে সেই ক্ষোভ উপচে পড়ছে। তবে যেভাবে সকলে বিজয়ী অর্কদীপের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন, তা যথেষ্ট অসংবেদনশীল বলেই মনে করছেন শিল্পীমহলের একটা বড় অংশ।

এই নিয়ে অভিযোগের আঙুল উঠেছে ভারতের জাতীয় পুরস্কার জয়ী গায়িকা ও অর্কদীপের মেন্টর ইমন চক্রবর্তীর দিকেও। সেসব কমেন্ট দেখে একইসঙ্গে হতাশ ও ক্ষুব্ধ ইমন।

ফেসবুক লাইভে এসে সমালোচনার কড়া জবাব দিয়ে ইমন বলেন, ‘একটি ছেলে প্রথম হলো তা নিয়ে এতো সমালোচনা কেন? অর্কদীপের বদলে অন্য কেউ বিজয়ী হলেও একইরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হতো। অর্ক প্রথম না হয়ে নীহারিকা প্রথম হলো- এই যে আপনাদের এতো বক্তব্য সেটা থাকত। অনেকের মনে হতো, নীহারিকা কেন প্রথম হল?’

নেটিজেনদের কটাক্ষের জবাবে জয় সরকারপত্নী ও সংগীতশিল্পী লোপামুদ্রা মিত্র সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, ‘গত ২০ বছর আমি জয় সরকারের মতো একজন আদ্যোপান্ত গানবাজনা প্রেমিক মানুষের সঙ্গে থাকি। তাকে চিনি হাড়ে-মজ্জায়। ছেলেটির (অর্কদীপ) কী দোষ? ওর উপর কতটা মানসিক চাপ পড়ছে, ওর যন্ত্রণা একবারও ভেবে দেখছেন? প্রথম হয়ে সে যেন ফাঁসির আসামী! জেতাটাকে উপভোগ করতে পারছে না বেচারা’।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত