সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ মে, ২০২১ ০২:৩৮

টাকা দিয়ে গাধা কেনা যায়, বাঙালি নয়: নচিকেতা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশ শুরু হয়েছে। সবশেষ ফল অনুযায়ী, বড় ব্যবধানে এগিয়ে আছে রাজ্যে ক্ষমতাসীন দল তৃণমূল।

সেই হিসেবে তৃতীয়বারের মতো রাজ্যক্ষমতায় থাকছে মমতার দল। এ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী।

এ জয়কে বাঙালির জয় বলে আখ্যায়িত করেছেন জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী। তার ভাষায় বাংলার মানুষকে টাকা দিয়ে কেনা যায় না।

আনন্দবাজার পত্রিকাকে প্রতিক্রিয়ায় নচিকেতা বলেন, ‘আজ বাঙালির জয়ের দিন। বাঙালির আত্মশ্লাঘার দিন। বাঙালি জিতিয়া প্রমাণ করিল, বাঙালি শ্রেষ্ঠ প্রজাতি।

‘কোনো এক মনীষী বলেছিলেন, বাংলা আজ যেটা ভাবে, ভারত সেটা ভাবে পরশু। বাঙালিদের এই অহংকারের জায়গাটা একটা সময় পর্যন্ত ছিল। তবে ইদানীং আমরা যেন নিজেদের বাঙালি ভাবতে লজ্জা পাচ্ছিলাম। এখনও প্রচুর মানুষ আছেন, যারা ইংরেজিতে কথা বলতে ভালোবাসেন। হিন্দিতেও। কিন্তু আজ একটা বিষয় প্রমাণিত হয়ে গেল, যে দলটা প্রায় গোটা ভারতকে মুঠোয় নিয়ে ফেলেছে, বাংলাকে তারা কব্জা করতে পারল না। এটা আক্ষরিক অর্থেই আমাদের অর্থাৎ বাঙালিদের জয়।’

তিনি বলেন, ‘বাঙালি সব অর্থেই দূরদর্শী। এটা কিন্তু আজ প্রমাণিত হয়ে গেল। সবাই বলেছিল, এ রাজ্যে বর্তমান সরকার আর টিকবে না। শাসক দলকে পাততাড়ি গুটিয়ে ঘরে ঢুকে যেতে হবে। কিন্তু সেই বাঙালিই জেতাল। আমার এক বন্ধু ভোট পর্বের সূচনাতেই বলেছিল, ‘‘নবান্নে আবার হাওয়াই চটি।’’ সকলে শুনে হেসেছিল হয়তো। আজ কিন্তু সেটাই হয়েছে। আমরা প্রমাণ করে দিয়েছি, আমরা অনেকের থেকে অনেক গুণ এগিয়ে।’

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের টাকা খরচের বিষয়টি উল্লেখ করে নচিকেতা বলেন, ‘হুইলচেয়ারে বসে একজন ভদ্রমহিলা গোটা রাজ্য ঘুরলেন। সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখের পাশে থাকার চেষ্টা করলেন। উন্নয়নের কথা বললেন। আর ভারত-কব্জা করা একটা দল দিল্লি-বাংলা যাতায়াতেই প্রায় ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে ফেলল। গোটা ভোটপর্বের জন্য খরচ শুনেছিলাম প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা! এই টাকা দিয়ে বাঙালিকে কেনা যায় না। দু-চারটে গাধা কেনা যায় হয়তো। কারণ, শয়তান তো চিরকালই থাকে। ওসব গুনতিতে আসবে না।’

সেই সঙ্গে এই জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী যোগ করেন, ‘আসলে বাঙালিকে আহ্বান জানিয়েছে একটি বাঙালি মন। আর সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমরা প্রমাণ করলাম, আমরা বাঙালি। সদর্পে ওই দলকে জানিয়ে দেয়া গেল-বাংলাটা এখনও গুজরাত হয়ে যায়নি।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত