অনলাইন ডেস্ক

২৫ জুন, ২০১৬ ২০:০০

ধর্ষনের অভিযোগ আনায় মডেলকে ২১ লাখ টাকা জরিমানা

ধর্ষণের বিচারে জার্মানির এক তরুণীকে উল্টো ২১ লাখ টাকা (২৭ হাজার ডলার) জরিমানা করেছেন দেশটির একটি আদালত।

জিনা লিসা লোহফিঙ্ক নামে ২৯ বছরের এই মডেল অভিযোগ করেন, ২০১২ সালে পারদিস এফ ও সেবাস্তিয়ান সি নামে দুই ব্যক্তি মাদক সেবন করিয়ে ধর্ষণ করে এবং সে দৃশ্য ধারণ করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেন।

মেয়েটি তার ধর্ষণের বিচার চেয়ে আদালতের দারস্থ হলে এই রায় পেলেন। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের।

আদালত 'ধর্ষণের' ভিডিও দেখে রায় দেন, যৌনমিলনের সময় মেয়েটি 'না' 'না' ঠিকই বলেছে। কিন্তু সেটি তাকে ধর্ষণ থেকে বিরত থাকতে নয়, এটি করা হয়েছে যেন ঘটনার ভিডিও ধারণ করা না হয়।

আদালত মনে করেন, এ ঘটনায় তরুণী তাকে ধর্ষণের অভিযোগ দিয়ে মূলত ওই দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছেন। আর এজন্যই তাকে ২৭ হাজার ডলার জরিমানা করেছেন আদালত।

তবে সাজা হয়েছে দুই অভিযুক্তেরও। ভিডিও ধারণ করে অনলাইনে ছেড়ে দেয়ায় তাদের দেড় হাজার ডলার করে জরিমানা দিতে হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়নি।

তবে রায়ে নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন লোহফিঙ্ক। তিনি বলেন, রায়ের মাধ্যমে আদালত কি চাইছিল যে, তারা আগে আমাকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলুক। তারপর তাদের দোষী সাব্যস্ত করার ব্যাপারে ভাববে?

আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলেও জানিয়েছেন এই জার্মান মডেল।

এদিকে এ রায়ের পর জার্মানিতে মানবাধিকার কর্মীরা সোচ্চার হয়েছেন। দেশটির ৮৩ ভাগ মানুষ চায় এ ব্যাপারে ফৌজদারি আইন আরও কঠোর করা হোক, যাতে ফাঁক গলে অপরাধীরা পার পেয়ে যেতে না পারে।

দেশটির বিদ্যমান আইনে ধর্ষণের সময় শুধু 'না' 'না' করলেই এটাকে ধর্ষণ বলে বিবেচিত হবে না। ভুক্তভোগীকে আদালতে এটাও প্রমাণ করতে হবে, তিনি সে সময়ে শারীরিকভাবেও বাধা দিয়েছিলেন।

জার্মানির পরিবার বিষয়কমন্ত্রী ম্যানুয়েলা স্কোয়েসিগ লোহফিঙ্কের মামলার ব্যাপারে গণমাধ্যমকে বলেন, 'এখানে 'না' শব্দটিই যথেষ্ট ছিল। কিন্তু সমালোচকরা বলছেন- এতে করে মিথ্যা মামলার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে।'

আপনার মন্তব্য

আলোচিত