২৫ জুলাই, ২০১৬ ১২:৫৮
রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল রিজেন্সির সেলিব্রেশন হলে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলাদেশের চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও কলকাতার পায়েল মুখার্জি অভিনীত নতুন ছবি 'শ্যাওলা'র মহরত । অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে অভিনেতা ফেরদৌস এহসান-বাপ্পী যুগল পরিচালিত ছবি 'শ্যাওলা'কে তিন বাংলার ছবি হিসেবে মন্তব্য করেছেন।
কিভাবে এটি তিন বাংলার ছবি হলো? ফেরদৌস বলেন, লন্ডন শহরে রয়েছে বাংলা টাউন নামে একটি স্থান। সেখানে বসবাস করেন ছবির দুই প্রযোজক বাবুল আকতার ববি এবং মোহাম্মদ রাজ। এ ছাড়া আছেন কলকাতার অভিনেত্রী পায়েল মুখার্জি এবং বাংলাদেশের যুগল পরিচালক এহসান ও বাপ্পি। এ ছাড়াও অভিনেতা ফেরদৌস ঢাকার অভিনেতা।
ফেরদৌস বলেন, এই তিন অঞ্চলের মানুষের সমন্বিত প্রয়াসে 'শ্যাওলা' হবে তিন বাংলার ছবি। তা ছাড়া দিন দিন বাংলা ছবির বিশ্বায়ন ঘটছে। বাংলা ছবির উন্নতির জন্য সবাই এগিয়ে আসছেন। যার প্রমাণ এ ছবির প্রযোজকদ্বয়।
তিনি আরো বলেন, আমি আমার ক্যারিয়ারে বেশ কিছু নির্মাতার নির্দেশনায় তাদের প্রথম ছবিতে কাজ করেছি। মজার ব্যাপার হচ্ছে প্রতিটি ছবিই সুপারহিট ছিল। যেমন সামিয়া জামানের 'রানী কুটির বাকি ইতিহাস', ফারুকীর প্রথম ছবি 'ব্যাচেলর', নির্ঝরের 'আহা', সোহেলের 'খাইরুন সুন্দরী' ইত্যাদি। আশা করছি এহসান-বাপ্পির নির্দেশিত 'শ্যাওলা' ছবিটিও দর্শক গ্রহণ করবেন।
কলকাতার অভিনেত্রী পায়েল বলেন, বাংলাদেশের মতো কলকাতায়ও ফেরদৌস অনেক জনপ্রিয়। তার সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছি, খুব ভালো লাগছে। আশা করছি এ ছবির মাধ্যমে বাংলাদেশের দর্শকরা আমাকে গ্রহণ করবেন।
দুই নির্মাতা বাপ্পী এবং এহসান জানান, শ্যাওলা ছবিটি বাণিজ্যিক নয়, পুরোপুরি আর্ট ফিল্ম ধাঁচের। এ ছবিতে সমাজে একজন নারী যে কত প্রতিকূল পরিস্থিতির শিকার হন সেটি ফুটে উঠবে। একই সঙ্গে পুরুষশাসিত সমাজে কুসংস্কারের ভয়াবহতা ও সমাজের নানা অসংগতি তুলে ধরা হবে। বলা যায় এটি একটি নারীর জার্নি।
মহরত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া চৌধুরী, কলকাতার পায়েল ছাড়াও ছবিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত অনেকেই।
আপনার মন্তব্য