বিনোদন ডেস্ক

০৭ জুন, ২০১৫ ০২:২৩

মুগ্ধতা ছড়ালেন শ্রেয়া ঘোষাল

রাতের শরীরে তখনো উত্তাপ। বেশ কদিন সেই উত্তাপ ছড়াচ্ছিল ঢাকার পথে পথে। দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার জানান দিচ্ছিল, বলিউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় গানগুলো যাঁর ঝুলিতে, তিনি গাইতে আসছেন ঢাকায়। তিনি শ্রেয়া ঘোষাল।

কলকাতার এই কিন্নরকণ্ঠী বাঙালির আদি বাড়ি বাংলাদেশের বিক্রমপুরে। গত শুক্রবার রাতে বসুন্ধরা কনভেনশন সিটির নবরাত্রি হলে তিনি গাইলেন তাঁর জনপ্রিয় একগুচ্ছ গান।
রাত পৌনে আটটায় শ্রেয়া মঞ্চে আসার আগে শোনা যায় তাঁর কণ্ঠ। নীলচে অন্ধকারের ভেতর থেকে ভেসে আসতে থাকে তাঁর ভীষণ জনপ্রিয় ‘শুন রাহা হে না তু’ গানটি। এই গান শেষ হলে দর্শকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। এরপর একে একে গেয়ে শোনান ‘তেরা সাজান আয়োরে’, ‘তেরে ন্যায়না’, ‘জাদু হ্যায় নাশা’, ‘মুঝে শাস আয়ি’, ‘ম্যায় তানু সামঝাকে’, ‘ও আকাশ ও পলাশ রাশি রাশি’, ‘পিয়া ওরে পিয়া’, ‘ইতনি সি হাসি’, ‘সাচি সাচি তেরে নাজরে’ গানগুলো। অনেকগুলো হিন্দি গানের পর অটোগ্রাফ ছবির ‘চল রাস্তায় সাজি ট্রামলাইন আর কবিতার শুয়ে কাপলেট/ আহা উত্তাপ কত সুন্দর, তুই থার্মোমিটারে মাপলে’ গানটি শুরু হলে পুরো পরিবেশ যেন বদলে যায়।

গানের একপর্যায়ে শ্রেয়া অনুযোগের সুরেই যেন বলেন, ‘শাওয়ারের নিচে তো খুব চিৎকার করে গাইতে পারেন, আমার সঙ্গে গাইছেন না কেন!’ একপর্যায়ে গাইতে গাইতে তিনি হালকা চালে নাচতেও শুরু করেন।

শ্রেয়া মঞ্চে আসার আগে গান করেন মন্টি ও উপমা নামের দুই নবীন শিল্পী। এরপর গান করেন ভারতীয় শিল্পী হৃষিকেশ প্রমোদ রনদে। শ্রেয়ার সঙ্গে কয়েকটি দ্বৈত গানও করেন তিনি।

বিরতির পর শ্রেয়া ‘জুবিডুবি’, ‘উলালা উলালা’, ‘ও রাধা তেরি ঝুমকা’, ‘চিকনি চামেলি’, ‘তেরি মেরি প্রেম কাহানি’ গানগুলো গেয়ে শোনান। রুনা লায়লাকে উৎসর্গ করে ‘সাধের লাউ’, লতা মঙ্গেশকরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘লাগজা গালে’ গান দুটিও শোনান তিনি। অনুষ্ঠান শেষ হয় ‘আমি যে তোমার’ গানের মধ্য দিয়ে।

‘শ্রেয়া ঘোষাল নাইট’ অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বে এন্টারটেইনমেন্ট।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত