নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ১১:২৮

বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের আত্মাহুতি দিবস আজ

বাঙালি যশস্বিনীদের মধ্যে অন্যতম বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ৯১তম আত্মাহুতি দিবস আজ।

ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে বীরোচিত ভূমিকার কারণে কীর্তিমান মহিয়ষী বাঙালি নারী হিসেবে তিনি বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন।

বীরকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ১৯১১ সালে চট্টগ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা জগবন্ধু ছিলেন চট্টগ্রাম পৌরসভার হেড ক্লার্ক। প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার মাস্টারদা সূর্যসেনের ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা ছিলেন। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে পরিচালিত সশস্ত্র সংগ্রামে প্রীতিলতাকে প্রথম আত্মোৎসর্গকারী নারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

প্রীতিলতা চট্টগ্রামের খাস্তগির বালিকা বিদ্যালয় থেকে ১৯২৭ সালে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করেন।

১৯২৯ সালে ঢাকা ইডেন মহিলা কলেজে ভর্তি হন এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এর দুই বৎসর পর প্রীতিলতা কলকাতার বেথুন কলেজ থেকে দর্শনশাস্ত্রে ডিস্টিংশনসহ গ্রাজুয়েশন করেন।

ইডেন কলেজের ছাত্রী থাকাকালে প্রীতিলতা লীলা নাগের নেতৃত্বাধীন দীপালি সংঘের অন্তর্ভুক্ত শ্রীসংঘের সদস্য এবং কলকাতার বেথুন কলেজের ছাত্রী থাকাকালে কল্যাণী দাসের নেতৃত্বাধীন ছাত্রীসংঘের সদস্য হন। গ্রাজুয়েশন করার পর তিনি চট্টগ্রামের নন্দনকানন অর্পণাচরণ নামক একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেন।

প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের সাহস ও ত্যাগ জাতীয় মুক্তির জন্য প্রেরণা ছিল। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে এই নারী স্বাধীনতা সংগ্রামী মাস্টার দা সূর্য সেনের পরিকল্পনায় চট্টগ্রাম পাহাড়তলি ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ করেন তাঁর সহযোগীদের নিয়ে। ওই ক্লাবের সামনে একটি সাইন বোর্ডে লেখা ছিল কুকুর এবং ভারতীয়দের প্রবেশ নিষেধ। পাঞ্জাবি পুরুষের বেশে ১৯৩২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর প্রীতিলতা ও তাঁর দল ক্লাব আক্রমণ করেন।

ক্লাব আক্রমণের পরে তিনি আহত হলে ব্রিটিশ পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে পটাশিয়াম সায়ানাইড পান করে আত্মাহুতি দেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত