
১৫ জুন, ২০২৪ ১০:৩৮
প্রতীকী ছবি
আজ পহেলা আষাঢ়। রূপময় বর্ষা ঋতুর প্রথম দিন। প্রকৃতি প্রবেশ করল বর্ষা ঋতুতে।
গ্রীষ্মের খরতাপ, টানা তাপদাহের ধূসর নাগরিক জীবন আর প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগাচ্ছে বর্ষা। পুষ্প-বৃক্ষে-পত্রপল্লবে নতুন প্রাণের সঞ্চার করে নতুন সুরের বার্তা নিয়ে এসেছে বর্ষা।
রবিঠাকুরের ভাষায় ‘বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি, শুষ্ক হৃদয়ও লয়ে আছে দাঁড়াইয়ে ঊর্ধ্বমুখে নরনারী…’
বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুনের আবাহন। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে আনে জীবনেরই বারতা। সুজলা, সুফলা, শস্য-শ্যামলা বাঙলা মায়ের নবজন্ম এই বর্ষাতেই।
সারা বছরের খাদ্য-শস্য-বীজের উন্মেষ তো ঘটবে বর্ষার ফেলে যাওয়া অফুরন্ত সম্ভাবনার পলিমাটি থেকে। বৃষ্টির স্নিগ্ধ প্রলেপে প্রকৃতিকে সঞ্জীবিত করতে আসে বর্ষা। নগরবাসীও যেন সঞ্জীবিত হয় বর্ষার বৃষ্টিধারায়।
বর্ষাকে নিয়ে নানা মিথ রয়েছে, বিশেষ করে দেশের নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে। কক্সবাজারের রাখাইন সম্প্রদায় বর্ষাকে বরণ করে ভিন্ন রকমভাবে। প্রতিবছর তারা কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে মাসব্যাপী বর্ষাবরণ উৎসবের আয়োজন করে থাকে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকেরা এ বর্ষাবরণ উৎসবে যোগ দেন।
বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। কদম ফুলের মতো তুলতুলে নরম, রঙিন স্বপ্ন দুই চোখের কোণে ভেসে ওঠে, ঠিক যেমন করে আকাশে সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায়। পুষ্প-বৃক্ষে, পত্র-পল্লবে, নতুন প্রাণের সঞ্চার করে, নতুন সুরের বার্তা নিয়ে সবুজের সমারোহ নিয়ে এসেছে বর্ষা।
রবি ঠাকুরের ভাষায়— আবার এসেছে আষাঢ় আকাশ ছেয়ে/ আসে বৃষ্টির সুবাস বাতাস বেয়ে/ এই পুরাতন হৃদয় আমার আজি/ পুলকে দুলিয়া উঠিছে আবার বাজি/ নূতন মেঘের ঘনিমার পানে চেয়ে/ রহিয়া রহিয়া বিপুল মাঠের 'পরে/ নব তৃণদলে বাদলের ছায়া পড়ে/ এসেছে এসেছে' এই কথা বলে প্রাণ/ 'এসেছে এসেছে' উঠিতেছে এই গান/ নয়নে এসেছে, হৃদয়ে এসেছে ধেয়ে।
আপনার মন্তব্য