নিজস্ব প্রতিবেদক

১৭ জুন, ২০২৪ ০২:১১

আজ ত্যাগের ঈদ, খুশির ঈদ

সংগৃহীত প্রতীকী ছবি

আজ পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশে পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে দেশের মুসলমান সম্প্রদায় তাদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন। ঘরে ঘরে ত্যাগের আনন্দে মহিমান্বিত হবে মন।

প্রায় চার হাজার বছর আগে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য হজরত ইব্রাহিম (আ.) তার ছেলে হজরত ইসমাইল (আ.)-কে কোরবানি করতে উদ্যত হয়েছিলেন। কিন্তু পরম করুণাময়ের অপার কুদরতে হজরত ইসমাইল (আ.)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়।

হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর সেই ত্যাগের মহিমার কথা স্মরণ করে মুসলিম সম্প্রদায় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় পশু কোরবানি করে থাকেন।

শাওয়াল মাসের চাঁদ ওঠা নিয়ে ঈদুল ফিতরের দিন নির্ধারিত হয়। এ কারণে একেবারে রোজার শেষাবধি ঈদের দিনটি নিয়ে এক রকমের অনিশ্চয়তা থাকে। তবে ঈদুল আজহা যেহেতু জিলহজ মাসের ১০ তারিখেই নির্ধারিত, তাই জিলহজের চাঁদ ওঠার পর হাতে বেশ খানিকটা সময় নিয়ে সবাই ঈদের প্রস্তুতি নিতে পারেন।

এই ঈদের প্রস্তুতির মধ্যে প্রধান বিষয় হলো পশু কেনা। পোশাক-পরিচ্ছদ ইত্যাদি কেনাকাটা ঈদুল আজহায় গৌণ। অবশ্য যারা ঈদের উত্সবে শহরে কর্মস্থল থেকে তাদের গ্রামের বাড়িতে ফেরেন, তাদের প্রস্তুতি শুরু হয় যানবাহনের টিকিট সংগ্রহ করা থেকে বাক্স-পেটরা গোছানো নিয়ে। এরপর নির্দিষ্ট দিনে যাত্রা করা। ঈদের যাত্রায় ভোগান্তি কম নয়, এবারও তার কোনো হেরফের হয়নি। তবু প্রিয়জনের সান্নিধ্য লাভের আনন্দ, আপন ঠিকানায় ফেরার অনুভূতির তুলনায় যাত্রার দুর্ভোগ তুচ্ছজ্ঞান করেই সপরিবারে গ্রামে ফিরে গেছেন অসংখ্য মানুষ।

কোরবানির মধ্য দিয়ে নিজের ভেতরের পশুত্বকে পরিহার করা ও হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর মহান আত্মত্যাগের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আজ মুসল্লিরা নিকটস্থ ঈদগাহ বা মসজিদে ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করবেন। খতিব নামাজের খুতবায় তুলে ধরবেন কোরবানির তাত্পর্য। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সবাই একত্রে নামাজ আদায় করেন। শুভেচ্ছাবিনিময় করবেন কোলাকুলির মাধ্যমে।

নামাজ শেষে আল্লাহ তায়ালার উদ্দেশে পশু কোরবানি এই ঈদের প্রধান কর্তব্য। পরে আরও দুই দিন, অর্থাৎ ১১ ও ১২ জিলহজেও পশু কোরবানি করার বিধান আছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত