রুহেল আহমদ আখন্দ

০৬ নভেম্বর, ২০১৬ ২২:১১

ঐতিহ্যর স্মারক শিলঘাট আকন্দ বাড়ি

হযরত শাহজালাল (রহ:) সিলেট বিজয়ের অতি অল্প সময়ের মধ্যে বহু লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তখন এদের ইসলামী শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রয়োজন পড়ে ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত ব্যক্তিদের। আব্দুল লতিফ আকন্দ হচ্ছেন এমনই একজন ব্যক্তিত্ব যিনি সময়ের সেই সদ্ধিক্ষনে সূদুর পারস্য থেকে সিলেটে আসেন। ইসলামি শিক্ষায় উচ্চ শিক্ষিত হওয়ার জন্য তিনি আকন্দ উপাধিতে ভূষিত হন।

ইসলামের ব্যপক প্রচার এবং প্রসারের লক্ষে হযরত শাহজালাল (রহ:) তাঁর সকল সঙ্গীদেরকে সিলেটে বিভিন্ন প্রত্যন্ত  অঞ্চলের চলে যেতে নির্দেশ দেন। তারই ধারাবাহিকতায় আব্দুল লতিফ আকন্দ গোলাপগঞ্জ উপজেলার শিলঘাট গ্রামে স্থায়ী ভাবে বসবাস শুরু করেন এবং সেখানে মৃত্যু বরণ করেন। আজপর্যন্ত তাঁর এ কবরটি সংরক্ষণ করা রয়েছে।

আকন্দ বাড়িতে বর্তমানে তার ১১ তম প্রজন্ম  চলছে। ১৫০ একর আয়তনের টিল্লা ঘেরা এই বাড়ির বর্তমান জনসংখ্যা হচ্ছে ২৯৫ জন। মোট জন সংখ্যার প্রায় ১৮% লোক প্রবাসী। তাছাড়া আকন্দ বাড়ীর গড় শিক্ষার হার প্রায় ৯৮%।

আকন্দ বাড়ির ৫ম প্রজন্ম পযন্ত অর্থাৎ আব্দুল লতিফ আকন্দ থেকে বাখর মো: মোল্লা, করম মো: মোল্লা, সহ সবাই ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন। ষষ্ঠ প্রজন্মে মোঃ হাজির এবং সপ্তম প্রজন্মে ইউসুফ আলী ও ফরজান আলী সাধারন শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, ফরজান আলী ১৮৯৯ ইংরেজিতে ১৬ বছর বয়সে রনকেলী ইস্কুল থেকে মিডল ইংলিশ স্কলারশীপ সার্টিফিকেট লাভ করেন। এছাড়া সপ্তম প্রজন্মে সমাজসেবায় হাজী ফুরকান আলী বিশেষ অবদান রাখেন। অষ্টম প্রজন্মে আব্দুল বারী (সরপঞ্চ) ১৬ নং সার্কেলের (শিলঘাট আমানিয়া ধারাবছর ও কদমরাসুল) ১৮ বছর ব্যাপী সরপঞ্চ ছিলেন এবং আব্দুর রশীদ কলামাষ্টার ঢাকা দক্ষিন পরগনার একজন বিশিষ্ট মুরব্বী ছিলেন। ৯ম প্রজন্মে আব্দুল বাছিত সাহেব ১৯-০৩-১৯৭৭ ইংরেজীতে ৯নং পশ্চিম আমুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং বদরুল হক সাহেব ১৪-০১-২০০২ ইংরেজীতে একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত