নিজস্ব প্রতিবেদক

০৫ আগস্ট, ২০১৯ ০১:২১

খেলতে খেলতে স্যান্ডউইচ তৈরি করলো শিশুরা

শিশুদের সৃজনশীলতা বিকাশে ‘স্যান্ডউইচ পার্টি’

শিশুদের সৃজনশীলতা বিকাশ ও খাবারের প্রতি আগ্রহ জাগাতে ব্যতিক্রমী এক আয়োজন করেছে ব্রাইট মাইন্ড নামের একটি শিশুসংগঠন। শিশুদের নিয়ে তারা আয়োজন করে 'স্মাইলি স্যান্ডউইচ পার্টি'।

'প্রতিটি শিশুই যেন বেড়ে ওঠে সৃজনশীল ক্ষমতা নিয়ে' এমন শ্লোগানে গত শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরীর শিবগঞ্জে এ ব্যতিক্রমী আয়োজনে ৩০ জন শিশু অংশ নেয়।

আয়োজকরা জানান, শিশুদের জীবন যেন স্বপ্নের মতো গড়ে ওঠে এবং মজার ছলে শিশুরা যাতে শিখতে পারে এ উদ্দেশ্য নিয়েই 'স্যান্ডউইচ পার্টি' নামের এই ব্যতিক্রমী আয়োজন করা হয়।

তাঁরা জানান, প্রতিটি শিশু আনন্দের সাথে এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করে এবং তাদের সৃষ্টিশীলতা প্রকাশ করে। এতে খেলাচ্ছলেই নিজেদের মতো করে স্যান্ডউইচ তৈরি করে শিশুরা। একেকটা শিশু একেকরকম ডিজাইন ও শেপের স্যান্ডউইচ তৈরি করে যা সত্যিই ছিল চোখ ধাধানো। এতে করে শিশুর সৃজনশীলতা বিকাশের পাশাপাশি খাবারের প্রতিও আগ্রহ তৈরি হবে বলে মনে করেন আয়োজকরা।

এতে অংশ নেওয়া সালাউদ্দিন বাবলু নামের এক অভিভাবক বলেন, শিশুদের জন্য এটি একটি ভালো, উদ্ভাবনশীল ও আকর্ষণীয় আয়োজন। প্রথমে তারা একটু নিশ্চুপ থাকলেও পরে তারা ভালোভাবে এই আয়োজন উপভোগ করেছে। এখন তারা পরবর্তী শুক্রবারের জন্য অপেক্ষা করছে।

মোরশেদা খাতুন নামে আরেক অভিভাবক বলেন, আমার বাচ্চা জানতো না কীভাবে নিজের হাতে খেতে হয়। এই স্যান্ডুউইচ পার্টির মাধ্যমে কীভাবে একটি স্যান্ডউইচ বানাতে হয় এবং নিজের হাতে খেতে হয় তা সে শিখতে পেরেছে। আমি মনে করি এটি একটি শিক্ষণীয় ও উপভোগ্য অনুষ্ঠান ছিল।

ব্রাইটমাইন্ড'র প্রতিষ্ঠাতা ফারহানা রহমান জোহান বলেন, আজকাল শিশুদের জীবনটা একঘেয়েমি হয়ে উঠেছে। স্কুল, টিউশন আর এ প্লাসের বেড়াজালে আটকা। প্রতি শুক্রবারে আমাদের ব্রাইট মাইন্ডের শাখা 'কিডস ক্লাব' থেকে বাচ্চাদের ছবি আঁকা শেখানো হয়। তাই ভাবলাম এই আর্ট ক্লাসটাও যাতে বিরক্তিকর না লাগে তাই এই ভিন্নধর্মী 'স্যান্ডউইচ পার্টি' আয়োজনের চিন্তা মাথায় আসে। এর মধ্য দিয়ে যাতে বাচ্চারা ভিন্নধর্মী এবং অবশ্যই সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটাতে পারে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিনের মতো ওরাও আঁকবে তবে এইদিন বাচ্চারা তা বাস্তবেও প্রয়োগ করতে শিখবে।

জোহান জানান, এই পার্টির নাম স্যান্ডউইচ পার্টি রাখার উদ্দেশ্য হলো- অনেক বাচ্চারাই আজকাল ডিম, শাকসবজি খেতে চায় না। তারা নিজেরাই যখন কোনো জিনিস বানাবে তখন তারা তা খেতেও আগ্রহী হবে। এর মধ্য দিয়ে তাদের সৃজনশীল চিন্তাধারাও বিকশিত হবে। যেমন- কে কীভাবে কোন শেইপে স্যান্ডউইচটা বানাবে, কীভাবে তা ডেকোরেশন করবে, কীভাবে করলে তা আরও আকর্ষণীয় দেখাবে। এভাবে ওরা নিজেদের সৃজনশীলতায় খাবার বানানোও শিখবে, নিজেরাই খাবে এবং তাও আনন্দের সাথে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত