সিলেটটুডে ডেস্ক

০১ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:৫১

কলসিতে মুখ আটকানো চিতাবাঘ!

কলসিতে আটকানো চিতাবাঘের মুখ। একটু পানির আশায় ঢুকিয়েছিল সেখানে, কিন্তু বিপত্তি ঘটল। এদিকওদিক আর চেষ্টার কমতি নেই, কিন্তু কিছুতেই মুখ বের করতে পারছিল না। আর ওদিকে আশপাশের মানুষজন কেউ আসছেও না এগিয়ে, ভয়ে।

অনেক দৌড়াদৌড়ির পর চিতাকে সেই বিপত্তি থেকে রক্ষা করেন স্থানীয় বন বিভাগের কর্মকর্তারা। ঘটনাটি ঘটেছে। ভারতের রাজস্থানের রাজসামান্থ জেলার সাদুলখেরা গ্রামে, বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর)। খবর এনডিটিভি ও জি-নিউজ।

খবরে বলা হয়, একটি চিতাবাঘ প্রচণ্ড তৃষ্ণায় কাতর হয়ে পানি খেতে গিয়েছিল রাজস্থানের রাজসামান্থ জেলার সাদুলখেরা গ্রামে। কলসিতে মুখ ঢুকালে যে ফেঁসে যেতে হবে, সেটা চিতাবাঘটি হয়তো ভাবেনি। তাই কলসিতে মুখ দিয়ে পানি খাওয়ার সময় মাথার সঙ্গে এঁটে যায় কলসি। অনেক চেষ্টার পরও কিছুতেই মুখ থেকে খুলছিল না কলসিটি। গ্রামের অনেক মানুষ জড়ো হলেও কেউ সাহস করে চিতাবাঘের কাছে যায়নি। দীর্ঘক্ষণ কলসি মুখে নিয়েই ঘুরতে থাকে বাঘটি। অনেক মানুষ এ সময় ছবি তোলে এবং ভিডিও করতে থাকে। পরে বন বিভাগের কর্মকর্তারা এসে চিতার মুখ থেকে কলসি খোলার ব্যবস্থা করেন।

ধারণা করা হচ্ছে, সাদুলখেরা গ্রামের ২০ কিলোমিটার দূরের কুম্বালঘর বন থেকে এসেছে চিতাবাঘটি।

রাজস্থানের জয়পুরের জেলার বন বিভাগের উদাইপুর রেঞ্জের কর্মকর্তা কপিল শর্মা বলেন, ‘পুরুষ চিতাবাঘটির বয়স তিন বছরের মতো। চিতাবাঘটি এখন পর্যবেক্ষণে আছে। পশু চিকিৎসকেরা চিতাকে দেখেছেন, তাঁরা বলেছেন বাঘটি সুস্থ আছে।’

কপিল শর্মা আরও বলেন, ‘চিতাবাঘটিকে বনে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে চিতাবাঘটি কোথা থেকে এসেছে, তা বলা মুশকিল। কারণ এখান থেকে কুম্বালঘর ২০ কিলোমিটার দূরে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত