সিলেটটুডে ডেস্ক

০১ জুন, ২০২১ ১৯:১৮

১ জুলাই থেকে অবৈধ মুঠোফোন বন্ধের ব্যবস্থা চালু

আগামী ১ জুলাই থেকে দেশে অবৈধ মুঠোফোন বন্ধের প্রযুক্তি চালু হবে। ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) নামের এ ব্যবস্থায় অবৈধভাবে আমদানি করা মুঠোফোন চালু করা যাবে না। তবে গ্রাহকের হাতে থাকা অবৈধ মুঠোফোনকে সময় দেবে বিটিআরসি।

মঙ্গলবার (১ জুন) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার এই তথ্য দেন। তিনি বলেন, ‘এনইআইআর ব্যবস্থা ১ জুলাই থেকে চালুর প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছি আমরা। রাজস্ব ফাঁকি রোধ ও অবৈধ মুঠোফোন ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ প্রতিরোধে এ ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। আমরা ব্যবস্থাটি চালু করব এমনভাবে যাতে গ্রাহকের ওপর চাপ না পড়ে।’

বিটিআরসির চেয়ারম্যান আরও বলেন, মানুষ বিদেশ থেকে কিনে বা উপহার হিসেবে অথবা উপহার দিতে মুঠোফোন আনতে পারবে। তবে বেশি পরিমাণে আনলে সরকারকে কর দিতে হবে।

বিটিআরসি মুঠোফোন বৈধ না অবৈধ, তা যাচাই করতে এনইআইআর নামের এ ব্যবস্থা চালু ও পরিচালনার জন্য দরপত্র আহ্বান করে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে। প্রযুক্তিগত সমাধান পেতে সংস্থাটি সিনেসিস আইটি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গত নভেম্বরে চুক্তি করে।

এনইআইআর ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশে বৈধভাবে আমদানি ও উৎপাদিত মুঠোফোনের তথ্যভাণ্ডারের সঙ্গে মোবাইল নেটওয়ার্কে চালু হওয়া ফোনের আইএমইআই (মুঠোফোন শনাক্তকরণ নম্বর) মিলিয়ে দেখা হবে। অবৈধ, চুরি যাওয়া ও নকল মুঠোফোন দেশের মোবাইল নেটওয়ার্কে চালু করা যাবে না।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, দেশে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ স্মার্টফোন অবৈধভাবে আমদানি করা হয়। এ কারণে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব হারায় সরকার।

বাংলাদেশ মোবাইল ফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, সাধারণ মানুষ জানে না কোনটা বৈধ, কোনটা অবৈধ ফোন, কীভাবে যাচাই করতে হয়। এ বিষয়ে বিটিআরসিকে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে।

তিনি বলেন, একটি মুঠোফোন আমদানিতে ৫৭ শতাংশ কর দিতে হয়। দেশে উৎপাদিত হলেও মুঠোফোনের দাম তেমন একটা কমেনি। এ কারণে মোট গ্রাহকের মাত্র ৪০ শতাংশ এখন স্মার্টফোন ব্যবহার করতে পারে। মুঠোফোন সেটের দাম যাতে মানুষের নাগালে আনা যায়, সেটা নিয়েও সরকারকে কাজ করতে হবে।

মুঠোফোন অপারেটরদের বৈশ্বিক সংগঠন জিএসএমএ গত মার্চে ‘মোবাইল নির্ভর ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশে মুঠোফোন ব্যবহারকারী ৪১ শতাংশের মুঠোয় আছে স্মার্টফোন। এ হার ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, এমনকি নেপালের চেয়েও কম। বাংলাদেশের পিছিয়ে থাকার কারণ স্মার্টফোনে উচ্চ হারে কর।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত