নিজস্ব প্রতিবেদক

০৪ জানুয়ারি, ২০১৬ ২১:৫৭

ভূমিকম্পে কাঁপছে ফেসবুকও

সোমবার ভোরে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠেছে পুরো দেশ। ভোর ৫টা ৫ মিনিটে অনুভূত এই ভূমিকম্প আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে। সম্প্রতিক সময়ের দেশে অনুভূত সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প বলেও এবে অভিহিত করেছেন অনেকে।

ভূমিকম্পের পর থেকেই এর রেশ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারীই ভূমিকম্প নিয়ে তাদের অনুভূতির কথা জানিয়েছেন ফেসবুকে। অনেকে আবার ভূমিকম্প হলে করণীয় নিয়ে পরামর্শও দিচ্ছেন। সবমিলিয়ে ভূমিকম্পে যেনো কাঁপছে ফেসবুকও।

ফেসবুকজুড়ে সারাদিন ধরে চলছে ভূমিকম্প নিয়ে আলোচনা। ভূমিকম্পের তীব্রতা বেশি হলে পরিণতি কী হবে সে নিয়েও আলোচনা করছেন ফেসবুকাররা।

ফেসবুকে জাহাঙ্গির এ বাবর লিখেছেন-

ভূমিকম্পের স্ট্যাটাসে সারা ফেসবুক কেঁপে উঠেছে- বেঁচে থাকার জন্য কে কিভাবে দৌড় দিয়েছিল মূল আলোচ্য বিষয় সেটাই।
তবে আসল খবর হলো ভূমিকম্প পরবর্তী প্রতিটি নামাজের সময় মসজিদগুলোতে মুছল্লিদের উপছেপড়া ভিড় ছিল। মাসাআল্লাহ...

ভূমিকম্পের পরপরই অনলাইন এক্টিভিস্ট পাপলু বাঙ্গালি লিখেছেন-

মানুষের গগণবিদারী চিৎকার আর দোলতে থাকা প্রিয় বাংলাদেশটাকে নিয়ে ছয় তলার উপর দাঁড়িয়ে প্রশ্নাতিতভাবেই জীবনের প্রথম এতো ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের সম্মুখীন হলাম। সবাই ভালো থাকুন। দরকার হলে জানান, ফোন খোলা আছে। প্রাণ-পরিবেশ-প্রতিবেশ নিয়ে আমাদের বোধাদয় হলেই আগামীতে বাঁচা যাবে। ভালো থেকো মনিপুর, ভালো থেকো আসাম, ভালো থেকো ত্রিপুরা-ভালো থেকো প্রিয় বাংলাদেশ।

মহসীন হাবিব লিখেছেন-

ভুমিকম্প না, এইটা ছিল হৃদকম্প! সকালে মুহূর্তের জন্য ভাবতে বাধ্য হয়েছিলাম, এখনই বুকের ঠিক উপরে কয়েক টন ইট, সুরকি-পা কেটে আলাদা হয়ে শুয়ে থাকব। তিন চারদিন এভাবে যন্ত্রনায় থেকে তারপর ঘুম, আর জাগব না। এমন কম্প আর অনুভব করিনি।

আবু হেনা তিমু লিখেছেন-

৬.৭ মাত্রা হলে ঢাকা শহর সমতল ভূমিতে পরিণত হবার কথা। ওটা হয়েছে মনিপুরে। আমাদের এখানে মাত্রা আরও কম হবার কথা। আমাদের আবহাওয়া বিভাগে রেখটার স্কেল নেই, এত এত যন্ত্রপাতি কেনা হয়, এত এত টাকা লোপাট হয়, একটা রেখটার স্কেল কেনার সামর্থ হয় না সরকারের।

সৈয়দ তারিক লিখেছেন-

তখন আমার ঘুম ভাঙল একটা স্বপ্ন দেখে। ব্যাটারি জাতীয় কী একটা ফুটো করে ফেলে দিয়েছি আর সেটা বার্স্ট করল। ঘুম থেকে উঠে, ঘোরের ভিতরেই দুলুনি কেবল নয় বন্ধ জানালায় কাঁপনের অবিরাম শব্দ শুনে ভাবলাম হ্যালুসিনেশন হচ্ছে।

ব্লগার অমি রহমান পিয়াল লিখেছেন-

ফেসবুকে লোকজনের স্ট্যাটাস পইড়া মনে হইতেছে ভুমিকম্পের মাত্রা রিখটারে ১৫-২০ এর কম হবে না!

সাঈফ ইবনে রফিক লিখেছেন-

ভূমিকম্প বলে কিছু নেই, সব সোশ্যাল মিডিয়ার সৃষ্টি। ‘আসল ভূমিকম্প’তো ফেসবুকে। সামান্য ক্ষয়ক্ষতির এই আতংককে পুঁজি করে আসল ব্যবসাটা করে নেবে ডাকটিলিটিসমৃদ্ধ ব্রান্ডেড স্টিল মিলের রড আর বহুজাতিক সিমেন্ট কোম্পানিগুলো।

প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মী সুদীপ্ত বিশ্বাস বিভু লিখেছেন-

এই প্রথম বুঝলাম জীবনকে কত ভালোবাসি। জীবন বাঁচানোর জন্য সব পেছনে ফেলে উর্ধ্বশ্বাসে কেবল দৌড়েছি। খুব কাছ থেকে আজরাইল দর্শন করলাম।

অনলাইন এক্টিভিস্ট শুভ ধর মজা করে লিখেছেন-

আল্ট্রা শর্ট প্যান্ট পড়ে ঘুমাবেন না। ভূমিকম্প হইলে ঘরের দরজা না দেখেই লং প্যান্ট খোঁজায় ব্যাস্ত থাকতে হয়!

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এমদাদ রহমান লিখেছেন-

প্রকৃতির কাছেই আমরা বড়ই অসহায়। মনে হচ্ছিলো এই বুজি সব শেষ। শুকরিয়া আল্লাহর কাছে।

সংস্কৃতিকর্মী উত্তরা সেন পম্পা'র ফেসবুক স্ট্যাটাস-

 শান্তিময় রাতের শেষে ভয়ঙ্কর ভোর!!! জীবনের প্রথম এতো বড় আর অবিশ্বাস্য ভুমিকম্প অনুভব করলাম!!!

রুমা মোদক লিখেছেন-

যতোই ভয়াবহ আতংকে কাঁপিয়ে দাও নিশ্চিন্ত বসবাস  তছনছ করে দাও ভোরঘুম, বাঁচার আকাঙ্ক্ষায় উন্মাদ করে দাও পায়ের নখ থেকে চুল তবু স্থায়িত্ব কিন্তু ঐ ত্রিশ সেকেন্ড,তারপর সেই গাছচেরা ঘামে জীবন যুদ্ধে নুয়ে পড়া কীবোর্ড পেসা মশলা মাছের চিন্তা পুনরায় ফিরে আসা যুদ্ধে এবং যাপনে

আপনার মন্তব্য

আলোচিত