সিলেটটুডে ডেস্ক

১৮ জুলাই, ২০১৬ ১৮:০৪

হোয়াটসঅ্যাপের অজানা পাঁচ তথ্য

খুদে বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ্লিকেশন হোয়াটসঅ্যাপ। ২০১৪ সালে এটি কিনতে ফেসবুক খরচ করেছিল এক হাজার নয় শ কোটি ডলার। ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারকে টেক্কা দিয়ে তাৎক্ষণিক বার্তা আদান-প্রদানের সেবায় এখনো এক নম্বরে আছে হোয়াটসঅ্যাপ। আর এই অ্যাপ সংশ্লিষ্ট এমন কিছু তথ্য আছে যা সাধারণে প্রচলিত নয়। তেমন কিছু তথ্য জেনে নেয়া যাক-

১. গত বছরের মার্চ মাসে হোয়াটসঅ্যাপের অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণে ডাউনলোডের সংখ্যা ১০০ কোটির ঘর পেরিয়ে যায়। এ সময় হোয়াটসঅ্যাপের কর্মীর সংখ্যা কতজন ছিল জানেন? মাত্র পাঁচজন! হোয়াটসঅ্যাপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও জ্যান কোউম এক পোস্টে নিজেই এই তথ্য জানিয়েছিলেন।

২. হোয়াটসঅ্যাপের দুই সহ-প্রতিষ্ঠাতা জ্যান কোউম ও ব্রায়ান অ্যাকটন-এই দুজনই আগে ইয়াহুতে কাজ করতেন। তবে হোয়াটসঅ্যাপে পুরোদমে কাজ শুরু করার আগে তাঁরা ফেসবুক ও টুইটারে কাজ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এই দুই প্রতিষ্ঠানই তাঁদের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল। একবার ভেবে দেখুন তো, প্রযুক্তিবিশ্ব কতটা ভিন্ন হতো, যদি এই দুজনের অন্তত একজনের চাকরির আবেদন গৃহীত হতো!

৩. ছবি ও ভিডিও ফাইলের আকার ছোট করে আনার কাজে সহজেই ব্যবহার করা যায় হোয়াটসঅ্যাপ। এ কাজে অন্য যে কোনো এডিটিং অ্যাপ্লিকেশনও ব্যবহার করা যায়। কিন্তু হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে সেটি যত সহজে আরেক বন্ধুর কাছে পাঠিয়ে দেওয়া যায়, অন্যগুলোর ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয় না। এটিই হোয়াটসঅ্যাপের অনন্য সুবিধা। এ ছাড়া কম্প্রেস করা ছবি বা ভিডিও নিজের ফোনে সংরক্ষণ করে জায়গাও বাঁচানো যায়।

৪. হোয়াটসঅ্যাপে একটি বার্তা পাঠিয়ে দিলে তা বন্ধুর কাছে পৌঁছেছে কি না, সেটি জানিয়ে দেয়। এই সুবিধা অন্যান্য ম্যাসেজিং অ্যাপেও আছে। তবে সেই বার্তা বন্ধুটি কখন পড়ছেন সেটিও জানায় হোয়াটসঅ্যাপ। একটি নির্দিষ্ট বার্তার ওপর কিছুক্ষণ আঙুল চেপে রাখলে যেসব অপশন আসে সেগুলো থেকে ‘ইনফো’ অপশনটি বেছে নিলেই এ তথ্য জানা যাবে।

৫. ওপেন হুইসপার সিস্টেমে তৈরি হোয়াটসঅ্যাপ। এর মধ্য দিয়ে আদান-প্রদান করা সব বার্তা এন্ড-টু-এন্ড পদ্ধতিতে এনক্রিপ্ট করা। এ পদ্ধতিতে হ্যাকাররা ব্যবহারকারীর গোপনীয়তায় সহজে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। ফলে ব্যবহারকারীর তথ্য থাকে সুরক্ষিত। এ কারণেই বিশ্বব্যাপী বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপের জনপ্রিয়তা এত বেশি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত