সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৭:৪৫

জীবনের ছন্দ কেড়ে নিচ্ছে ফেসবুক

বর্তমান কর্মব্যস্ত জীবনের অবসর সময় পুরোটাই দখল করে নিয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো। ১৮ বছরের তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে ৮০ বছরের বৃদ্ধরাও প্রতিদিন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় ব্যয় করেন এ মাধ্যমগুলোয়। ব্যবহারকারী বিবেচনায় বর্তমানে শীর্ষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। কম বয়সীদের মধ্যে ফেসবুক ব্যবহারের প্রবণতা তুলনামূলক বেশি।

কিন্তু জানেন কি? এ ফেসবুক জীবনের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে। জনপ্রিয় সোস্যাল মাধ্যমটি যেভাবে আপনার জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, তা নিয়ে আয়োজন-


ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানো

 বিভিন্ন জরিপ ফলাফলে দেখা যায়, আসক্ত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নিদ্রা অভ্যাসের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অর্থাত্ মানুষের ঘুমের প্যাটার্ন পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়। বিভিন্ন বিষয়ে আপডেট পেতে বারবার ফেসবুকে চোখ রাখতে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই পর্যাপ্ত বা পরিপূর্ণ ঘুম সম্ভব নয়।


বিষণ্নতা তৈরি করে

ফেসবুকে দীর্ঘ সময় কাটানো প্রতিহিংসাপরায়ণ করে তুলবে। ২০১৫ সালের এক জরিপ অনুযায়ী, প্রবল হিংসা একসময় হতাশায় পরিণত হয়ে ধীরে ধীরে আপনাকে বিষণ্ন করে তুলবে। বিবৃতিতে গবেষণা সহকারী মিসৌরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতার অধ্যাপক ডা. মার্গারেট ডাফি বলেন, জরিপে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়, যেসব ফেসবুক ব্যবহারকারী বন্ধুর অনলাইন কার্যক্রম এবং ভার্চুয়াল লাইফস্টাইল দেখে হিংসাবোধ করেন। মূলত তারাই বেশি বিষণ্নতায় ভুগতে থাকার কথা উল্লেখ করেছেন।

মনোযোগ দুর্বল করা

জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো মানুষের মনোযোগ নষ্ট করে দিচ্ছে। সম্প্রতি গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, গড় মনোযোগের হার অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে। এজন্য ফেসবুকের মতো বিভিন্ন সোস্যাল মাধ্যমগুলোকে দায়ী করা হচ্ছে। ডিজিটাল জীবনধারার দ্বারা সৃষ্ট ক্রমাগত বিক্ষিপ্ত মনোভাব মস্তিষ্কের রসায়ন পরিবর্তন করে দিচ্ছে। এতে করে দীর্ঘ সময় কোনো কাজে মনোযোগ দেয়ার ক্ষমতা হারাচ্ছে মানুষ।


ডিভাইসের ব্যাটারি শেষ করা

বহুল ব্যবহূত স্মার্টফোন ডিভাইসের ব্যাটারি দ্রুত ফুরিয়ে যাওয়ার জন্য ফেসবুকের অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস অ্যাপকে দায়ী করা হয়। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ নিজেও এটি স্বীকার করেছে। স্মার্টফোন থেকে ফেসবুক অ্যাপ মুছে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাটারির স্থায়িত্ব ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। অথচ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যতীত অন্য অ্যাপে এত বেশি চার্জ প্রয়োজন হয় না।

 

সম্পর্ক নষ্ট করে দিতে পারে

 সাধারণত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো মানুষকে একে অন্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে ভূমিকা রাখে। কিন্তু মনোবিজ্ঞানীদের মতে, বর্তমানে দাম্পত্য জীবনে বিভেদ সৃষ্টির জন্য এ ধরনের মাধ্যমগুলোর ভূমিকা খুবই নেতিবাচক। ঘনিষ্ঠ মুহূর্তগুলো নষ্ট করে ধারাবাহিক ফেসবুক নোটিফিকেশন চেক করার মতো অভ্যাস। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানোর ক্ষেত্রেও নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহূত হচ্ছে।

 
হাফিংটন পোস্ট অবলম্বনে

আপনার মন্তব্য

আলোচিত