সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ নভেম্বর, ২০১৬ ১৬:১১

অটোমোবাইল নীতিমালা আসছে, কমবে মোটরসাইকেলের দাম

মোটরসাইকেলসহ অটোমোবাইল খাতে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করতে যাচ্ছে সরকার। এর ফলে বাজারে কমে আসবে মোটরসাইকেলের দাম।

রোববার (২০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে ‘বাজাজ ভি’ মোটরসাইকেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, "মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন ফি কমাতেও শিল্প মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।"

মোশাররফ হোসেন বলেন, "অটোমোবাইল কোম্পানিগুলোর পরিকল্পনা নিয়ে রাজস্ব বোর্ডে দিলে সুদ সুবিধাও পাবে। আর সে সুবিধায় খরচ কমলে মোটরসাইকেলের বিক্রয়মূল্য কমে যাবে। তখন আমাদের দেশে মোটরসাইকেল আরও বেশি বিক্রি হবে। ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ডসহ অনেক দেশে বাংলাদেশের চেয়ে জনসংখ্যা কম হওয়া স্বত্ত্বেও মোটরসাইকেলের ব্যবহার এবং বার্ষিক বিক্রি অনেক বেশি। কারণ, সেসব দেশে মোটরসাইকেল অনেক সস্তা। আমাদের দেশে রেজিস্ট্রেশেন ফিও বেশি। এটা কমাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এ বিষয়ে সফল হলে মোটরসাইকেলের দাম কমবে।"

শিল্প মন্ত্রণালয়ের এই সিনিয়র সচিব বলেন, "বাংলাদেশে অনেক কোম্পানি গাড়ি বা মোটরসাইকেল সংযোজনের কাজ করছে। তবে বাংলাদেশকে মোটরসাইকেল বা গাড়ি সংযোজনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ দেখতে চাই না। আমরা উৎপাদনকারী হিসেবে বাংলাদেশকে দেখতে চাই। এজন্য সংযোজনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সরকারের আলোচনা চলছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে সুপারিশ চাওয়া হয়েছে। যা নিয়ে নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা হবে।"

অনুষ্ঠানে ‘বাজাজ ভি’ মোটরসাইকেলের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান উত্তরা মোটরসের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউর রহমান বলেন, "বর্তমানে মোটরসাইকেল সেক্টরে কোনো সুস্পষ্ট নীতিমালা নেই। ফলে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রি সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের সমন্বয়ে একটি স্থায়ী ব্যবসায়ী বান্ধব অটোমোবাইল নীতিমালা জরুরি।"

তিনি বলেন, "বর্তমানে স্থানীয়ভাবে সংযোজিত মোটরসাইকেলের ওপর ১২৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, যা গাড়ি আমদানির সমান। মোটরসাইকেলের আমদানি শুল্ক হ্রাস করলে ভোক্তারা যেমন উপকৃত হবে, তেমনি বাজার বাড়বে।"

আপনার মন্তব্য

আলোচিত