সিলেটটুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

২১ অক্টোবর, ২০১৫ ০১:২৯

ভূমধ্যসাগরের কেন্দ্রস্থলে নেটোর সামরিক মহড়া শুরু

বাল্টিক অঞ্চল থেকে সিরিয়ায় রাশিয়ার ক্রমবর্ধমান সামরিক উপস্থিতির হুমকির মুখে নেটো সামরিক শক্তি প্রদর্শনের এ মহড়া শুরু করেছে।

এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সোমবার থেকে ভূমধ্যসাগরের কেন্দ্রস্থলে সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া শুরু করেছে নেটো ও এর মিত্রদেশগুলো।

মহড়ায় অংশ নিচ্ছে অন্তত ৩৬ হাজার সেনা, জাহাজ এবং বিমান। মহড়ার তদারকি শুরুর আগে দিয়ে নেটোর শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল ফিলিপ ব্রিডলোভ বলেন, “কোনো নেটো দেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের কোনোরকম চেষ্টা চললে নেটোভুক্ত সব দেশ চূড়ান্ত সামরিক ব্যবস্থা নেবে।”

রাশিয়াই এ মুহূর্তে নেটোর উদ্বেগের কারণ। রাশিয়ার হুমকিকে সামনে রেখে স্নায়ুযুদ্ধকালের পর এ সময়টিতেই নেটো সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি আধুনিকায়ন করতে বাধ্য হচ্ছে।

বাল্টিক অঞ্চলে যেখানে কিলিনিনগ্রাদে রাশিয়ার নৌঘাঁটি আছে সেখান থেকে শুরু করে কৃষ্ণ সাগর এবং সংযুক্ত ক্রিমিয়াসহ সিরিয়ায় রাশিয়ায় হস্তক্ষেপ- সব মিলে বিশাল এলাকাজুড়ে বিমান-বিধ্বংসী এবং জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন রেখেছে রাশিয়া।

নেটোর উপ মহাসচিব জেনারেল অ্যালেক্সান্ডার ভার্সবো সাংবাদিকদের বলেন, আমরা রাশিয়ার সামরিক শক্তি বৃদ্ধি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। কিলিনিনগ্রাদ, কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার শক্তিবৃদ্ধি আর এখন পূর্ব ভূমধ্যসাগরঅঞ্চলেও মস্কোর একই পদক্ষেপ বাড়তি চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছে।

নেটো কর্মকর্তারা অবশ্য জোর দিয়েই বলছেন, তারা জোটভুক্ত ২৮ টি দেশকেই যে কোনো হুমকি থেকে সুরক্ষা দিতে প্রস্তুত এবং সক্ষমও। তাছাড়া, নেটোর সম্মিলিত শক্তি রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতার চেয়েও অনেক বেশি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত