২৭ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:১৭
আইনের ফাঁক গলে শিশুদের ধর্ষণ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা। এ বার সেই ধর্ষকদের শাস্তির জন্য আরও কড়া আইন প্রনয়ন করতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট।
শিশুদের ধর্ষণ করলে শাস্তি হিসেবে লিঙ্গচ্ছেদের মতো কড়া দাওয়াই দেওয়া উচিত বলে মনে করে ওই আদালত। রবিবার একটি মামলার রায় দেওয়ার সময় কেন্দ্রকে এমনটাই বার্তা দিয়েছে হাইকোর্ট।
জোরের সঙ্গে বলা হয়েছে, ‘দেশে দিনের পর দিন বেড়ে চলা শিশু ধর্ষণের ভয়াবহতা দেখেও আদালত এ রকম নীরব-নিথর দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারে না।’
মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি এন কিরুবাকারন জানিয়েছেন, কড়া আইন থাকা সত্ত্বেও ভারতে বাড়ছে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা।
আইনের ফাঁক গলে ছাড় পেয়ে যাচ্ছে অপরাধীরা। তাঁর কথায়, ‘‘এই ঘৃণ্য অপরাধ আটকাতে বর্তমান আইন ব্যর্থ। আদালত বিশ্বাস করে এ ক্ষেত্রে লিঙ্গচ্ছেদের সাজা শোনালে ম্যাজিকের মতো কমবে এই অপরাধের সংখ্যা।’’
তিনি আরও জানান, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা-সহ ন’টি আমেরিকান প্রদেশ, রাশিয়া, পোল্যান্ডে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের শাস্তি লিঙ্গচ্ছেদ। সেখানে এই শাস্তির আইনি প্রচলনের পরেই অনেক কমেছে শিশুদের উপর যৌননির্যাতনের ঘটনা।
আদালতের মতে, এই শাস্তি নৃশংস হলেও শিশু ধর্ষণের নৃশংসতা আটকাতে পাল্টা নৃশংস হওয়া ছাড়া এই মুহূর্তে আর কোনও উপায় নেই। আদালতের বিশ্বাস, শাস্তির মাত্রা চরম হলে তবেই অপরাধ করার আগে ভয় পাবে অপরাধীরা।
তামিলনাড়ুর এক কিশোরের উপর যৌননির্যাতনের মামলার রায় দেওয়ার সময় রবিবার এই মন্তব্য করেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। বাতিল করা হয়েছে ঘটনায় অভিযুক্ত এক ব্রিটিশ নাগরিকের আবেদন। যৌন নিগ্রহের ঘটনার পরে লন্ডনে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। নিগৃহীত কিশোরের বয়স এখন ১৮। সম্প্রতি অভিযোগ দায়ের করেছে সে। অভিযুক্ত নিজেকে নিরাপরাধ দাবি করে মাদ্রাজ হাইকোর্টে আবেদন করে। আবেদনে সে জানায়, ইন্টারপোলের নোটিসের কারণে তার পক্ষে ভারতে আসা সম্ভব নয়। হাইকোর্ট তার পিটিশন খারিজ করে সেই নোটিস হোল্ডে পাঠিয়েছে। তবে, ট্রায়ালের জন্য ভারতে আসতেই হবে অভিযুক্তকে।
আপনার মন্তব্য