২৮ অক্টোবর, ২০১৫ ২৩:৫৭
নারী গৃহকর্মীকে দিয়ে জোরপূর্বক ওরাল সেক্সে বাধ্য করায় গ্রেফতার হয়েছেন এক সৌদি রাজপুত্র। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রয়েছে নারী গৃহকর্মীর যৌনাঙ্গ দেখতে চাওয়া, অন্য পুরুষকে দিয়ে হস্তমৈথুন করানো, বাড়িতে যৌনকর্মীদের ডেকে আনা ও সমকামিতার অভিযোগ ওঠেছে।
প্রিন্স মাজেদ আব্দুল আজিজ নামের ২৯ বছর বয়সী ওই সৌদি রাজপুত্রের বিরুদ্ধে তিন নারী গৃহকর্মী এসব অভিযোগে এক মামলা করেছেন।
তিন নারী গৃহকর্মীর দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, রাজপুত্র এসব কর্ম ঘটিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার বেভারলি হিলসের বাসভবনে। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ওই নারীদের গৃহকর্মী হিসেবে নিয়োগ দেন তিনি। এরপর থেকেই তাদের উপর চালান যৌন সহিংসতা।
গত বৃহস্পতিবার দায়ের করা মামলায় বলা হয়, সৌদি রাজপুত্র ওই নারীদের আতঙ্কের মধ্যে রেখে একজনকে তার শারীরিক সান্নিধ্যে আসতে, একজনকে ওরাল সেক্সে বাধ্য করেন।
মামলায় বলা হয়, এক পর্যায়ে তিনি তার নিরাপত্তাকর্মীসহ সকলকে উলঙ্গ হয়ে দাঁড়াতে বলেন, কারণ তিনি প্রত্যেকের যৌনাঙ্গ দেখতে চান।
এসময় একজন তাকে এসব বন্ধের অনুরোধ জানালে তিনি চিৎকার করে বলেন, তুমি নারী নও! তুমি কেউ না! আমি রাজার ছেলে এবং আমার মন যা চায় আমি তাই করব এবং কেউই আমার কিছু করতে পারবে না।
তাদের অভিযোগে আরো বলা হয়, তারা মাজেদকে অন্য পুরুষকে দিয়ে হস্তমৈথুন করাতে দেখেছেন এবং এক ধরনের পাউডারের ঘ্রাণ নিতেও দেখেছেন যাকে কোকেন বলে মনে করছেন তারা।
তাদের আইনজীবী ভ্যান ফ্রিশ বলেছেন, মাজেদ তার কর্মীদের হুমকি দিয়েছেন এবং তাদের উপর যৌন সহিংসতা চালিয়েছেন এবং সকলের সামনেই সকলকে লজ্জা দিয়েছেন। সম্পদ ও ক্ষমতার ব্যবহার করে নিরীহ লোকদের উপর মানসিক ও শারীরিক নিপীড়ন চালানোর আরেকটি ন্যক্কারজনক উদাহরণ এটি।
তিনি বলেন, মামলার সাথে সম্পর্কহীন এক নারীর কান্না শুনে পুলিশকে ডাকেন কোনো এক নারী। এসময়ই ধরা পড়েন সৌদি রাজপুত্র।
তবে এ বিষয়ে কথা বলার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি মাজেদের আইনজীবীকে।
লস এঞ্জেলস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে ওই মামলায় তারা যুবরাজের বিরুদ্ধে কোনো গুরুতর অপরাধের অভিযোগ আনবে না। তবে তার বিরুদ্ধে খারাপ আচরণের অভিযোগ আনা হতে পারে।
ফ্রিশ জানান, সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণের সময় নিউইয়র্কে যাত্রা বিরতি নিয়ে বেশ কয়েক জন নারীর ওপর যৌন সহিংসতা চালান।
আপনার মন্তব্য