ওয়েব ডেস্ক

০৯ নভেম্বর, ২০১৫ ১১:৫৬

পাকিস্তানে কারখানা ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪

ছবি : রয়টার্স

পাকিস্তানে একটি কারখানা ধসের ঘটনার প্রায় পাঁচদিন পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪ জনে দাঁড়িয়েছে। রোববার উদ্ধারকারী বিভাগের কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।

বুধবার রাতে লাহোর জেলার চারতলা ওই কারখানাটি বিধ্বস্ত হয়। এর ধ্বংসস্তূপ থেকে একশরও বেশি আহতকে উদ্ধার করা হয়েছে।

তবে শুক্রবার রাতের পর থেকে সেখানে জীবিত আর কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন লাহোর জেলার অতিরিক্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ জুলফিকার আহমেদ।

আটকেপড়াদের খুঁজে পেতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর ব্যবহার করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “শুধু নিচের তলাটি বাকি আছে, সব ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নিতে আর একদিন লাগবে আর এরপর বলা যাবে ঠিক কতোজন নিহত হয়েছেন।

“আজ ৪৫ মিনিটের জন্য পুরো উদ্ধার অভিযান বন্ধ রেখে পিনপতন নিস্তব্ধতার মধ্যে ভয়েস সেন্সর ব্যবহার করে কোনো আওয়াজ পাওয়া যায় কিনা পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু কারো কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।”

নিখোঁজ অনেকের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলের চারপাশে জড়ো হয়ে আছেন। অপরপাশে কোনো সাড়ার আশায় মোবাইল ফোনের নাম্বারে রিং দেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। কিন্তু ওই লাইনগুলো অকেজো হয়ে আছে।

কারখানাটির কর্মী মুহাম্মদ রিজওয়ানের (১৬) ভাই ইমরান বলেন, “তিনদিন ধরে আমরা এখানে আছি। প্রতি মুহূর্তে মনে হচ্ছে ছোটভাই রিজওয়ান এই বুঝি ধ্বংসস্তূপ থেকে বের হয়ে আসছে।”

কারাখানাটি ধসে পড়ার ১০ মিনিট আগে ছোটভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি। তারপর থেকে রিজওয়ানকে কল দিয়েই যাচ্ছেন তিনি। প্রথম দুইদিন রিং হলেও কেউ ধরছিল না। শনিবার থেকে আর রিংও হচ্ছে না, মোবাইলটি বন্ধ হয়ে গেছে।

ঘটনাস্থলে থাকা কারাখানাটির কর্মকর্তা আকরাম আলী জানান, ঘটনার সময় কারখানাটিতে ১৬০ থেকে ১৭৫ জন কারাখানা কর্মী ও আরো কয়েকজন নির্মাণকর্মী ছিলেন।

দুর্ঘটনাটি থেকে বেঁচে ফিরে আসা লোকজন জানিয়েছেন, গেল মাসের সাত দশমিক পাঁচ মাত্রার ভূমিকম্পের পর কারখানা ভবনটিতে বড় একটি ফাটল দেখা দিলেও কারাখানা মালিক নির্মাণকাজ বন্ধ করেননি। কাজ বন্ধ রাখার জন্য ঠিকাদার ও কারখানাকর্মীদের অনুরোধও উপেক্ষা করেন তিনি। পরে কারখানা ভবন ধসে পড়লে অনেকের সঙ্গে মালিকও নিহত হন।

লাহোর শহর থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত এই কারখানাটিতে প্লাস্টিকের ব্যাগ তৈরি করা হতো।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত