আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৭ জুলাই, ২০২২ ১৬:২৮

প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ছেন বরিস জনসন

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আজ বৃহস্পতিবার পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন। একটি সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

মাত্র দুই ঘণ্টার ব্যবধানে জনসনের দুই পররাষ্ট্রসচিবসহ আটজন মন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে তিনি প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বরিস জনসনের ডাউনিং স্ট্রিটের কার্যালয় বলেছে, আজ কিছু পরে তিনি এ ব্যাপারে বিবৃতি দেবেন।

এদিকে আরেক ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বরিস জনসন কনজারভেটিভ পার্টির নেতার পদ থেকে পদত্যাগ করবেন, প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে নয়। আগামী শরৎকাল পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করে যাবেন।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েক দিন ধরেই মন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই করছেন বরিস জনসন। অল্প কিছু মিত্র বাদে প্রায় সবাই তাঁর সরকারের বিভিন্ন পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। বরিস জনসনের বিরুদ্ধ উত্থাপিত নানা কেলেঙ্কারির জেরে গতকাল বুধবার তাঁর মন্ত্রিসভা থেকে একে একে ২৭ জন পদত্যাগ করেছেন।

কনজারভেটিভ পার্টির ডেপুটি চেয়ারম্যান জাস্টিন টমলিনসন টুইটারে বলেছেন, ‘তাঁর পদত্যাগ অনিবার্য ছিল। একটি দল হিসেবে আমাদের অবশ্যই দ্রুত ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। এই সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

বরিস জনসন যদি দল থেকেও পদত্যাগ করেন, তবে কনজারভেটিভদের এখন নতুন নেতা নির্বাচন করতে হবে। নেতা নির্বাচন করা প্রায় দুই মাসব্যাপী একটি লম্বা প্রক্রিয়া।

করোনা মহামারির সময় থেকে বিভিন্নভাবে সমালোচনার মুখে পড়েছেন বরিস জনসন। ২০২০ সালের মে মাসে লকডাউনের সময় বেশ কয়েকজন অতিথি নিয়ে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে নিজের সরকারি বাসভবনে পার্টির আয়োজন করেছিলেন জনসন। তখন তাঁর এই কাণ্ড ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। ওই পার্টিতে আসার জন্য অতিথিদের সঙ্গে করে মদ আনতে বলেছিলেন তিনি।

বরিস জনসন অতিথিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ই-মেইলের মাধ্যমে। গত জানুয়ারিতে ই-মেইলটি ফাঁস হয় এবং গণমাধ্যমে সংবাদ হয়। পরে পার্লামেন্টের বিরোধী দল লেবার পার্টির এমপিরা জনসনের পদত্যাগ দাবি করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত