সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ মার্চ, ২০২৪ ০৯:৫৫

যুদ্ধবিরতির আলোচনা আগামী সপ্তাহে: হামাস

গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার সময়ে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী ও গাজার নিয়ন্ত্রক হামাসের প্রতিনিধি বলছেন, আগামী রোববার পর্যন্ত গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আর কোনো আলোচনা হবে না। তবে আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে আলোচনা আবারও শুরু হতে পারে।

মার্কিন বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিসরীয় কর্মকর্তারা এর আগে বলেছিলেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনা হামাসের দাবির কারণে অচলাবস্থায় পৌঁছেছে। তবে তারা রমজানের আগে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আশা একেবারে ত্যাগ করেননি। অনুমান করা হচ্ছে, আগামী রোববার থেকেই মধ্যপ্রাচ্যে রোজা শুরু হয়ে যেতে পারে।

আলোচনা থমকে যাওয়ার কারণ হিসেবে হামাসের মুখপাত্র জিহাদ ত্বহা বলেছেন, ‘স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, বাস্তুচ্যুতদের নিজ ঘরে প্রত্যাবর্তন ও ইসরায়েল যেসব এলাকা আগ্রাসন চালিয়েছে সেখান থেকে নিজেদের প্রত্যাহারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিতে এবং নিশ্চয়তা দিতে অস্বীকার করেছে।’ তবে তিনি জানিয়েছেন, আলোচনা এখনো চলমান এবং আগামী সপ্তাহে আবার শুরু হবে।

কাতারের মধ্যস্থতায় যুক্তরাষ্ট্র ও মিসর বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই হামাসের হাতে জিম্মি ইসরায়েলিদের বিপরীতে ইসরায়েলে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি ও ছয় সপ্তাহের একটি যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে।

মিসরীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, হামাস প্রথম পর্যায়ে এ ধরনের চুক্তির মূল শর্তাবলিতে সম্মত হয়েছে। তবে তারা প্রতিশ্রুতি চায়, এই আলোচনা একটি চূড়ান্ত ও আরও স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দিকে যাবে।

হামাস জানিয়েছে, তারা গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর পুরোপুরি প্রত্যাহার ছাড়া সব জিম্মিকে মুক্তি দেবে না। অনুমান করা হচ্ছে হামাসের কাছে এখনো অন্তত ১০০ ইসরায়েলি জিম্মি আছে। এই জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি দাবি করছে গোষ্ঠীটি।

ইসরায়েল এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটি বলেছে, তারা হামাসকে ধ্বংস করার লক্ষ্য নিয়ে যে কোনো যুদ্ধবিরতির পরে আবারও আক্রমণ শুরু করতে চায়। মিসরীয় কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরায়েল আলোচনাকে আরও সীমিত চুক্তিতে সীমাবদ্ধ রাখতে চায়। তারা বলেছেন, মধ্যস্থতাকারীরা এখনো উভয় পক্ষকে অবস্থান নরম করার জন্য চাপ দিচ্ছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত