সিলেটটুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

১০ জুলাই, ২০১৬ ০০:০৪

বিক্ষুব্ধ কাশ্মীর, পুলিশের গুলিতে নিহত ৮

নিহত ওয়ানির লাশ নিয়ে জনতার বিক্ষোভ। ছবিঃ এএফপি

ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের এক শীর্ষ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের ঘটনার প্রেক্ষিতে চলমান জনতার বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন।

আজ শনিবার জনতার প্রতিবাদ-বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্যটির গ্রীষ্মকালীন রাজধানী শ্রীনগর। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গুলি চালালে ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। অন্য আরেকজন মারা যান গুলিতে আহত হয়ে নদীতে ডুবে।  

শ্রীনগরের পুলিশ কর্মকর্তা শিব মুরারি সাহাইয়ের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এ ঘটনায় অন্তত ২০০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছে্ন অন্তত ১০০ জন বিক্ষোভকারী। এ ছাড়া পুলিশের ৯০ জন সদস্য আহত হয়েছেন, যাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের শ্রীনগরের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশের দাবি, বিক্ষুব্ধ জনতা পুলিশ স্টেশন ও  সরকারি ভবনে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। তারা উপত্যকার শ্রীনগর-অনন্তনাগ জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে এবং লাঠিপেটা করে।

শ্রীনগর ও দক্ষিণ কাশ্মীরের বেশ কিছু জায়গায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। নাশকতার আশঙ্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি রেলপথ। গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। স্থগিত করা হয়েছে পুণ্যার্থীদের অমরনাথযাত্রাও। ব্যাংক, বিমাসহ অন্যান্য অফিস-আদালত বন্ধ রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গতকাল শুক্রবার দক্ষিণ কাশ্মীরের বুমডুরা গ্রামে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন রাজ্যটির সবচেয়ে বড় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী হিজবুল মুজাহিদিনের (এইচএম) শীর্ষ কমান্ডার বুরহান মোজাফফর ওয়ানি (২২)। এ সময় তাঁর দুই সহযোগীও নিহত হন।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত হতে থাকে জম্মু-কাশ্মীর। কারফিউ উপেক্ষা করে উপত্যকার হাজার হাজার মানুষ এ হত্যার প্রতিবাদে রাজপথে নেমে আসে। আজ ওয়ানির লাশ হস্তান্তর করে পুলিশ। তাঁর জানাজায় বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নেয়। কাশ্মীরে ওয়ানি জনপ্রিয় ছিলেন।

হিজবুল মুজাহিদিন কাশ্মীরের অনেকগুলো বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের একটি। ১৯৮৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীরে সহিংসতায় অন্তত ১০ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত