ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

১৫ জুলাই, ২০১৬ ০৩:২৮

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে মিথ্যাবাদী বললেন ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডেভিড ক্যামেরন সরকারের পদত্যাগের পর নতুন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে'র নেতৃত্বাধীন মন্ত্রীপরিষদের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে হাসিঠাট্টা আর অভিযোগ উঠেছে।

অন্যান্য বিশ্ব নেতাদের নিয়ে কাণ্ডজ্ঞানহীন ভাবনা-চিন্তার জন্য পরিচিত জনসনের এ নতুন দায়িত্বের খবর শুনে হাসি চেপে রাখতে পারেননি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রদপ্তরের মুখপাত্র মার্ক টোনার।

আর ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, জ্যঁ মাহ কেহু বলেছেন, যুক্তরাজ্যের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘বরিস জনসন একজন মিথ্যাবাদী’। ‘তার পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।’

ইউরোপ ওয়ান বেতারে মাহ কেহু বৃহস্পতিবার বলেন, জনসন ইইউ গণভোটের প্রচারের সময় ব্রিটিশ জনগণকে মিথ্যা বলেছিলেন। এখন তিনি দেশকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য চাপের মুখে পড়বেন।

তিনি আরও বলেন, ফ্রান্সের একজন বিশ্বাসযোগ্য এবং নির্ভরযোগ্য আলোচক দরকার, যার ওপর আস্থা রাখা যায়।

লন্ডনের সাবেক মেয়র জনসন ইইউ থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে প্রচার চালিয়েছিলেন। ইইউ নীতির সমালোচনা বারবারই করেছেন তিনি। ইইউ’য়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ফ্রান্স জনসনের ইইউ-বিরোধী বক্তব্যগুলো স্বভাবতই মেনে নিতে পারেনি।

জনসন যে কূটনীতিকসুলভ না তার পরিচয় তিনি ইতোমধ্যেই দিয়েছেন। এই গত কয়েকমাসের মধ্যেই তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা “পৈতৃকভাবেই ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে অপছন্দ করেন।”

যুক্তরাজ্যের ইইউ’য়ে থাকার পক্ষ সমর্থনের জন্য গত এপ্রিলেই ওবামাকে ‘ভন্ড’ বলে মন্তব্য করেছিলেন জনসন।

যুক্তরাজ্যে গত ২৩ জুনের গণভোটের ফলের পর জনসন কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্বে দাঁড়াবেন বলে আশা করা হচ্ছিল। কিন্তু জনসনের কয়েকজন আস্থাভাজন সহকর্মী তার ওপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় তিনি এ প্রতিযোগিতা থেকে সরে দাঁড়ান।

জনসন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ায় বিশ্বব্যাপী অনেক রাজনীতিবিদই বিস্মিত হয়েছেন। তার আক্রমণাত্মক মন্তব্য এবং কূটনৈতিকসূলভ না হওয়ার ইতিহাস স্মরণ করেছেন অনেকেই।

বেতারে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহ কেহু বলেছেন, “তিনি বরিস জনসনকে নিয়ে চিন্তিত না, কিন্তু গণভোটের প্রচারের সময় তিনি ব্রিটিশ জনগণকে মিথ্যা বলেছেন। আর এখন তার পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।”

মূলত ব্রেক্সিট নিয়ে জনগণকে মিথ্যা বলা এবং গণভোটের ফলের পরই দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার কারণেই বরিস জনসনকে ঘিরে বিশ্বব্যাপী ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ব্রেক্সিট প্রচারণায় আপনারা তার স্টাইল কি ছিল আপনারা দেখেছেন? তিনি ব্রিটিশ জনগণকে প্রচুর মিথ্যা বলেছেন। এখন দেশকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য তার পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে। কিন্তু এখন এ অবস্থাতেই ইউরোপের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক স্পষ্ট হতে হবে। ব্রিটিশদের নিজেদের স্বার্থেই আমরা কোনও অস্পষ্ট বা ঘোলা পরিস্থিতি বেশিদিন চলতে দিতে পারি না।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত