০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৯:৫৪
ইরানিদের মুসলিম মানতে নারাজ সৌদি আরবের শীর্ষ ইমাম. ‘ইরানিদের অমুসলিম’ বলে অভিহিত করেছেন তিনি। সৌদি আরবের হজ ব্যবস্থাপনা নিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার সমালোচনার জবাবে সৌদি আরবের শীর্ষ আলেম এমন মন্তব্য করলেন।
বিবিসি জানিয়েছে, সৌদি আরবের গ্রান্ড মুফতি আব্দুল আজিজ আল শেখ ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির অভিযোগগুলোকে ‘বিস্ময়কর নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন।
প্রাচীন ইরানি ধর্ম জরথুস্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করে আব্দুল আজিজ বলেন, “তারা তো মেজাইয়ের (প্রাচীন ইরানি পুরোহিতমণ্ডলী) সন্তান।”
মধ্যপ্রাচ্যের দুটি নেতৃস্থানীয় মুসলিম দেশ, সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ সৌদি আরব ও শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরানের মধ্যে পরস্পরের বিষয়ে গভীর সন্দেহ বিরাজ করছে। গত বছর হজের সময় পদদলিত হয়ে কয়েক হাজার হাজি মারা যাওয়ার ঘটনার সমালোচনা করে আলি খামেনি হাজিদের ‘খুন’ করার জন্য সৌদি আরবকে অভিযুক্ত করেন।
তিনি বলেন, “হৃদয়হীন খুনি সৌদিরা আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে, তাদের সহায়তা না করে এমনকি পানিও পান করতে না দিয়ে মৃতদের সঙ্গে কন্টেইনারের ভিতরে বন্দি করে রেখেছিলেন, তাদের খুন করেছেন তারা।”
তবে এ অভিযোগের বিষয়ে কোনো প্রমাণ দেখাননি তিনি। সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ওই পদদলনের ঘটনার এক বছর পূর্তিতে আলি খামেনি এসব কথা বলেন। ওই ঘটনায় বেসরকারি হিসাবে ২,৪২৬ জন হাজির মৃত্যু হয়েছিল, যাদের মধ্যে ৪৬৪ জন ইরানি।
অপরদিকে সৌদি কর্তৃপক্ষের দাবি ওই ঘটনায় ৭৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ঘটনার তদন্তের ফলাফল নিয়ে খুব অল্প তথ্য প্রকাশ করেছে সৌদি কর্তৃপক্ষ, কিন্তু সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছে।
মক্কা সংবাদপত্র আলি খামেনির মন্তব্যের বিষয়ে আব্দুল আজিজের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি খামেনির অভিযোগ উড়িয়ে দেন।
তিনি বলেন, “আমাদের অবশ্যই বুঝতে হবে তারা মুসলমান নয়। তারা মেজাইয়ের সন্তান এবং মুসলিমদের সঙ্গে তাদের শত্রুতা পুরনো বিষয়, বিশেষ করে ঐতিহ্যবাহী মুসলমানদের (সুন্নি) সঙ্গে।”
সৌদি আরবের জনসংখ্যার ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ সুন্নি, অপরদিকে ইরানি জনসংখ্যার ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ শিয়া।
সৌদি আরবের রাজপরিবার ও ধর্মীয় প্রভাবশালী গোষ্ঠী প্রধানত কট্টরপন্থি সুন্নি ধারা ওহাবি মতবাদের অনুসারী। এরা প্রায়ই শিয়াদের মূল বিশ্বাস থেকে সরে যাওয়া ‘প্রত্যাখ্যানকারী’ বলে অভিহিত করে থাকে।
আপনার মন্তব্য