অনলাইন ডেস্ক

১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:৩২

আইএস এর যৌনদাসী থেকে জাতিসংঘের অ্যাম্বাসাডর

নানা অকথ্য অত্যাচার শিকার হয়েছে নাদিয়া মুরাদ। সেই কাহিনি তিনি শুনিয়েছেন প্রায় এক বছর আগে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে শুনিয়েছিলেন তার যন্ত্রণার কথা। শুনিয়েছিলেন সেই যন্ত্রণাময় জীবন থেকে আলোয় ফিরে আসার লড়াইয়ের কথা।

দীর্ঘ সময় তাকে ইসলামিক স্টেট এর যৌনদাসী হিসেবে গণধর্ষিতা হতে হয়েছে। কিন্তু সেই জীবন থেকে তিনি বেরিয়ে এসেছেন। জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে নরক থেকে বেরিয়ে আসা নাদিয়া মুরাদই শুক্রবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের গুডউইল অ্যাম্বাসাডর হিসেবে কাজ শুরু করলেন।

ইরাকের মেয়ে নাদিয়া। কুর্দ জনগোষ্ঠীর ইয়াজিদি ধর্মের মেয়ে। ২০১৪ সালে ইরাক যখন প্রায় ইসলামিক স্টেটের দখলে তখন সদ্য ১৯-এর নাদিয়ার জীবনে অন্ধকার নেমে আসে। তাদের বাড়ি যেখানে ছিল, সেখানে তখন আইএস-এর দাপট চলছে। জঙ্গিরা তখন ইয়াজিদি মহিলাদের জোর করে ধরে নিয়ে যাচ্ছে।  তেমনভাবে একদিন থাবা বসল নাদিয়ার উপরেও। সেই সময়ে হাজার পাঁচেক মহিলাকে অপহরণ করে আইএস।

অনেক রক্তঝরা দিন-রাত কাটিয়ে তবে একদিন বন্দিত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছেন নাদিয়া নিজের চেষ্টায়। অনেকদিন কাটিয়েছেন জার্মানির এক অ্যাসাইলামে। অবশেষ গুরুদায়িত্ব পেলেন তিনি। হলেন জাতিসংঘের গুডউইল অ্যাম্বাসাডর।

সেই অত্যাচারের দিনগুলি এখনও ভোলেননি নাদিয়া। তাই এখন তিনি কাজ করছেন এমন অত্যাচারিত মহিলাদের নিয়ে। সেই কাজেরই পুরস্কার দিল জাতিসংঘ। ইতিমধ্যেই নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য নাদিয়ার নাম প্রস্তাব করেছে ইরাক। খবর: বিবিসি

আপনার মন্তব্য

আলোচিত