সিলেটটুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৮:৫৯

বিপুল সংখ্যক বিদেশী কর্মী নেবে জাপান

নেগেটিভ জন্মহারের কারণে ক্রম হ্রাসমান জনসংখ্যা এবং একই সাথে আয়ু বৃদ্ধির ফলে বয়োবৃদ্ধ নাগরিকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় দিন দিন ব্যাপক লোকবল সঙ্কটে পড়ছে জাপান। এই সঙ্কট থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে অধিক সংখ্যক বিদেশী কর্মী নেয়ার পরিকল্পনা করছে দেশটি। এমন তথ্য জানিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের দুই অন্যতম সহযোগী ।

ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টির একজন এমপি ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা মাসাহিকো শিবায়ামা শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সিঙ্গাপুরে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, জাপানে বিদেশী কর্মী নেয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে। এই সংখ্যা বর্তমানের দ্বিগুণ হতে পারে। জাপানে এখন বিদেশী কর্মীর সংখ্যা প্রায় দুই লাখ।

মাসাহিকো বলেন, সম্ভবত আগামী কয়েক বছরের জন্য বেশ কয়েকটি নীতি গ্রহণ করা হবে। আমি মনে করছি না যে এটা সরকারের স্থায়ী কোনো লক্ষ্য। তবে আমার মতে, বিদেশী কর্মী দ্বিগুণ করলেও বর্তমান বিশ্ববাজার পরিস্থিতি মোকাবেলায় যথেষ্ট হবে না। আরো অনেক বিদেশী কর্মী গ্রহণের একটি টেকসই নীতি গ্রহণ করতে হবে আমাদের।

পৃথক সাক্ষাৎকারে গত বৃহস্পতিবার সাবেক সহকারী অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী আবের উপদেষ্টা ইয়াসুতুশি নিশিমুরা জানান, এ শরতেই সরকার একটি বিল পাস করতে যাচ্ছে। বিদেশী ‘প্রশিক্ষণার্থী’ নেয়ার বর্তমান ব্যবস্থাকে আরো সম্প্রসারিত করা হবে যার অধীনে শ্রমিকদের একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য থাকার অনুমতি দেয়া হবে। এবং যেসব খাত কর্মী সঙ্কটে ভুগছে সেসব খাতে নতুন ধরনের ভিসা ব্যবস্থা প্রচলনের বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

পরবর্তীতে নিশিমুরা তার টোকিও অফিসে জানান, এ ব্যবস্থার অধীনে জাপানে বর্তমানে ১ লাখ ৯০ হাজার বিদেশী কাজ করছেন। নতুন আইন অনুযায়ী তারা পাঁচ বছর পর্যন্ত জাপানে থাকতে পারবেন, বর্তমানে যা তিন বছর। এ ব্যবস্থায় কোনো কোম্পানি প্রশিক্ষণার্থীদের একটা বড় অংশকে আরো বেশি খাতে নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ দিতে পারবে।

জাপানে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া এবং অত্যন্ত কম জন্মহারের কারণে যে নিজস্ব লোকবলের সঙ্কট সৃষ্টি হচ্ছে তা সমাধানে একাধিকবার অভিবাসন প্রক্রিয়া চালু করার প্রস্তাবও করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আবে অবশ্য বর্তমান জনসংখ্যা ১২ কোটি ৭০ লাখ থেকে কমে ১০ কোটির নিচে নামতে না দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন। যদিও জাপানের মতো একটি অপেক্ষাকৃত রক্ষণশীল সমাজের ওপর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থেকে ইতিমধ্যে বিদেশীদের স্বাগত জানানোর প্রক্রিয়াও থেমে নেই।

এছাড়া প্রযুক্তি শিল্পে ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে কর্মী নেয়ার বিষয়েও আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছেন নিশিমুরা। দ্রুত বর্ধনশীল পর্যটন শিল্পের জন্য নতুন করে আলাদা ভিসা চালু করার বিষয়েও কথা হচ্ছে বলে জানান তিনি। সূত্র: ব্লুমবার্গ

আপনার মন্তব্য

আলোচিত