সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১২:৪০

সু চিকে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখার আহ্বান জাতিসংঘের

শান্তিতে নোবেল জয়ী মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে তার দেশের রাখাইন রাজ্যে গিয়ে সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি দেখার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। ওই রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর দেশটির সেনারা অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

মিয়ানমার-বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ উপদেষ্টা বিজয় নামবিয়ার বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে সু চির প্রতি ওই আহ্বান জানান বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।

বিজয় নামবিয়ার বলেন, স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তায় প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা না নিয়ে অভিযানে যাওয়ায় স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। এজন্যে তিনি সু চির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বিজয় নামবিয়ার বলেন, ‘আমি সু চিকে রাখাইনের মংডু ও বুথিডং পরিদর্শনের অনুরোধ করছি। সেখানকার বেসামরিক লোকজনকে তাদের সুরক্ষার বিষয়ে আশ্বস্ত করতে বলেছি।’

রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে দেশটির সেনা ও পুলিশ সহিংস অভিযান চালাচ্ছে। রোহিঙ্গাবিরোধী এই অভিযান বন্ধে কার্যত কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচিত হচ্ছেন সু চি। রাখাইনে রোহিঙ্গারা ব্যাপক হারে হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের ঘরবাড়ি ও দোকানপাটে হামলা চালানো হচ্ছে। আগুন দেওয়া হচ্ছে। দমন-পীড়নের মুখে হাজারো রোহিঙ্গা পালাচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। অনুপ্রবেশের লক্ষ্যে অনেকে সীমান্তে জড়ো হয়েছে। তবে রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়ন চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করছে মিয়ানমার সরকার।

গত ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের কয়েকটি সীমান্ত পোস্টে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ হামলায় পুলিশের নয়জন সদস্য নিহত হওয়ার পর রোহিঙ্গা-অধ্যুষিত জেলাগুলোতে দেশটির সেনা-পুলিশের সহিংস অভিযান শুরু হয়।

রোহিঙ্গাদের ওপর ‘গণহত্যা’ চালানোর অভিযোগ এনেছে মালয়েশিয়া। এই ‘গণহত্যা’ বন্ধ করতে দেশটির নেত্রী সু চির প্রতি সম্প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক।

তীব্র সমালোচনার মুখে সু চি দাবি করেছেন, রাখাইনের পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই তাঁর সরকার নিয়ন্ত্রণে এনেছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত হওয়ার পথে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে নেতিবাচক কথা না বলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে সহযোগিতার অনুরোধ জানান তিনি।

এদিকে, মিয়ানমারে অব্যাহত রোহিঙ্গা নিপীড়নের মুখে রাজ্যটির লোকজন সাগরপথে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত