সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০২:১৯

রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা : ওবামা

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। তবে যুক্তরাষ্ট্র কোনও ধরনের প্রমাণ ছাড়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ও হিলারি ক্লিন্টনের একজন শীর্ষ সহযোগীর ইমেইল হ্যাক করার যে অভিযোগ করছে তা ‘অশোভন’ বলে মন্তব্য করেছে ক্রেমলিন।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি বেতার নেটওয়ার্ক এনপিআর এ ওবামা বলেন, “আমাদের নির্বাচনের শুদ্ধতার ওপর যখন কোনও বিদেশি সরকার প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করবে, তখন আমাদের পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, এবং আমরা তা নেব এ ব্যাপারে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই বলেই আমি মনে করি। যথা সময়ে যথাস্থানে আমাদের বিবেচনাতেই তা নেব।”

“এর কিছু স্পষ্ট এবং প্রকাশ্য হতে পারে, কিছু হয়ত স্পষ্ট হবে না। এ বিষয়ে আমার কী মত তা পুতিন খুব ভালোভাবেই অবগত আছেন। কারণ, আমি তার সঙ্গে এ বিষয়ে সরাসরি কথা বলেছি।”

নির্বাচনে জয়ী রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পও এ ধরনের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে একে ‘উদ্ভট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) এক মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জয়ী করতে যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছে। নির্বাচনে হিলারির জয়ের সম্ভাবনা হ্রাস করা এবং ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলার জন্য এক অভিযানে নেমেছিল রুশ হ্যাকাররা। আর এই হ্যাকের ঘটনার নেপথ্যে ছিল ক্রেমলিন। এ ব্যাপারে তথ্য-প্রমাণ রয়েছে বলেও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দাবি করেছে।

পাশাপাশি, বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র বলেন, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই সাইবার-হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি জোস আর্নেস্ট বলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় হ্যাকিংয়ের ঘটনায় পুতিন সরাসরি জড়িত ছিলেন- মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এনবিসি নিউজের জানানো এ তথ্যের সঙ্গে তিনি একমত।

তিনি আরও বলেন, রাশিয়া যে সাইবার হামলায় জড়িত সেকথা ডোনাল্ড ট্রাম্পও জানতেন। যে সাইবার হামলার কারণে হিলারিকে পরাজয়ের মুখে ঠেলে দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিলেন ট্রাম্প।

অবশ্য ২০ জানুয়ারি ওবামা  ক্ষমতা থেকে চলে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে তা স্পষ্ট নয়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সেবা তদারককারী শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা 'অফিস অফ দ্য ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স' (ওডিএনআই) মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হ্যাকারদের হস্তক্ষেপ নিয়ে সিআইএ’র মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদন করেনি।

অক্টোবর ও নভেম্বরে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী হিলারির প্রচার শিবিরের প্রধান ছিলেন জন পোডেস্টা, যার ইমেইল হ্যাকড হওয়ার খবর পরে প্রকাশ পায়। বৃহস্পতিবার পোডেস্টা রাশিয়ার হ্যাকিংয়ের অভিযোগ নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই’য়ের প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করে ওয়াশিংটন পোস্টে এক কলামে লেখেন, “হিলারির নিষ্পত্তি হয়ে যাওয়া ইমেইল কাণ্ড নিয়ে এফবিআই যেভাবে নতুন করে জোর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল সেই তুলনায় একটি জাতীয় নির্বাচন ভণ্ডুল করার রাশিয়ার খুবই বাস্তব পরিকল্পনার অভিযোগে তাদের প্রতিক্রিয়া আপাতদৃষ্টিতে খুবই ঢিলেঢালা। এতেই বোঝা যাচ্ছে, এফবিআই’তে বড় ধরনের ভাঙন দেখা দিয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত