২১ ফেব্রুয়ারি , ২০১৭ ১৭:৫৪
উর্দু দিয়ে বাংলাকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করেছিলো পাকিস্তান। ১৯৫২'র ২১ ফেব্রুয়ারি প্রাণের বিনিময়ে বাংলার অধিকার আদায় করে নিয়েছিলো বাঙালিরা। বাঙালির আত্মত্যাগের এই দিনটি পরবর্তীতে হয়ে ওঠে বিশ্ববাসীর। ২১ ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
আশ্চর্যের বিষয় হলো, যে পাকিস্তান দমন-পীড়নের কারণে ২১ ফেব্রুয়ারি রক্তভেজা ইতিহাসের সৃষ্টি সেই দেশেও এখন পালিত হয় ২১ ফেব্রুয়ারি।
করাচির সাংবাদিক মনির আহমেদের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানিয়েছেন, কাগজে কলমে ভালোভাবেই ২১ ফেব্রুয়ারি 'আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস' হিসেবে উদযাপন করা হয় পাকিস্তানে।
করাচি, ইসলামাবাদ ও লাহোরের মত শহরে ঘটা করেই পালন করা হয়। কিছু সেমিনার হয়। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু আলোচনাও হয়। প্রভাতফেরীর আয়োজনও দেখা যায় কোন কোন ক্ষেত্রে।
এবছর ফেব্রুয়ারির ১৮ ও ১৯ তারিখে একটি সাহিত্য উৎসবও হয়েছে বলে জানিয়েছেন মনির আহমেদ।
কিন্তু কেন ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়, কী ঘটেছিল ১৯৫২ সালের সেই দিনটিতে, সে ব্যাপারে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের এবং স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের স্বচ্ছ ধারণা নেই বলে উল্লেখ করেছন তিনি।
কেবল ১৯৫২ সালে উর্দুর মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা এবং একটি ভাষা আন্দোলন সম্পর্কে কিছু ধারনা রয়েছে তাদের।
দেশটির পাঠ্যক্রমেও এ বিষয়ক পূর্ণ ইতিহাসের অনুপস্থিতি রয়েছে বলে উল্লেখ করেন মনির আহমেদ।
পাকিস্তানে ৬৫ থেকে ৭২টির মতো বিভিন্ন ভাষার চর্চা রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তবে এই সবগুলো ভাষার সঠিক চর্চা এবং সব গোষ্ঠীর মাতৃভাষায় লেখাপড়ার সুযোগ নেই।
সূত্র : বিবিসি বাংলা
আপনার মন্তব্য